বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার, বাংলার বুকে একের পর এক উঠে চলা ইস্যুতে তোলপাড় রাজনীতি। সম্প্রতি, পাচার দুর্নীতি মামলায় তদন্তের স্বার্থে মোট ১০ টি দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি (ED) অফিসাররা আর এবার কয়লা পাচার কাণ্ডেও (Coal Scam Case) ফের একবার নড়েচড়ে বসলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ফলে সব মিলিয়ে পাচার কাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য এবং নথি জোগাড় করতে তৎপর হয়ে উঠল ইডি কর্তারা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে অনুপ মাঝি ওরফে লালার ডায়েরি রয়েছে। বর্তমানে এই ডায়েরির ওপর নির্ভর করেই তদন্তের গতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তারা।
কয়লা পাচার মামলার সম্প্রতি ইডির হাতে রয়েছে লালার ডায়েরি। ৪৪ পাতা জুড়ে থাকা ডায়েরিতে সাংকেতিক ভাষায় লেখা রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য; যেমন ডেল-এর মাধ্যমে দিল্লি এবং বিআরডি-এর মাধ্যমে বর্ধমানের মত জায়গাগুলি বোঝানো হয়েছে। ইডি সুত্রের খবর, পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রভাবশালী নেতা, কাকে কত টাকা প্রদান করা হয়েছে, সব কিছুর ইঙ্গিত রয়েছে ডায়েরিতে আর সেই কারণে এর মাধ্যমেই বর্তমানে তদন্তের জাল গোটাতে মরিয়া অফিসাররা।
ইডি সূত্রে খবর, লালার ডায়েরিতে উল্লেখিত নামগুলি কাদের এবং সেই সকল ব্যক্তিদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত, সে প্রসঙ্গে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তারা। এক্ষেত্রে সম্পত্তিগুলিতে কোনো বেআইনি দিক রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে তারা। জানা গিয়েছে, ডায়েরিতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশ কর্তার পাশাপাশি একাধিক নেতা-নেত্রীদের নামও উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত অর্থের পরিমাণ ভিন্ন।
পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে এসডিপিও পদের জন্য যেখানে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকতো, সেখানে আবার নিম্নস্তরের অফিসারদের জন্য দেওয়া হতো ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। আবার অপরদিকে, পুরসভার চেয়ারম্যান কিংবা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ব্যক্তিদেরও কাছে পৌঁছে যেত কয়লা পাচারের অর্থ। তাদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ছিল এক লক্ষ! এ সকল তথ্যকে হাতিয়ার করেই পুনরায় একবার তদন্তের জাল গোটাতে মরিয়া ইডি।