বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরপর দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Subhashree Ganguly)। আর দুটি ছবিই পড়েছে বয়কটের ডাকের মুখে। রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’ এবং ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘বিসমিল্লা’ দুটি ছবির বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছে নেটপাড়ার একাংশ। দুই ধর্মকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিসমিল্লায়।
ছবিতে বিসমিল্লা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। আর ফাতিমা মিলে গিয়েছে রাধার সঙ্গে। এই ফাতিমার ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন শুভশ্রী। বিসমিল্লার চরিত্রে অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। ধর্ম, জাতের বৈষম্যের উর্দ্ধে উঠে ছবির গল্প বলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেই গণ্ডিতেই আটকে পড়েছে বিসমিল্লা। কেন দুই ভিন্ন ধর্মকে এভাবে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে? এমনি প্রশ্ন তুলে বিরোধিতা জানানো হচ্ছে বিসমিল্লার বিরুদ্ধে।
বিষয়টা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন শুভশ্রী। কিছুটা স্বামী রাজ চক্রবর্তীর সুরে সুর মিলিয়েই তিনি বলেন, সকলে খুব খেটে, খুব সততার সঙ্গে ছবিটা তৈরি করা হয়েছে। দর্শকদের যাতে ভাল লাগে সে জন্যই এত পরিশ্রম। ছবিটা দেখার পর যদি কেউ সমালোচনা করতেন তাহলে কিছু বলার থাকত না। কিন্তু না দেখেই বয়কটের ডাক উঠছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বলিউড বিধ্বস্ত বয়কটের ডাকে। টলিউডেও একই পরিস্থিতি। শুভশ্রী পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, তিনি যখন বর্ধমানে থাকতেন তখন প্রতি শুক্রবার তাঁর ঠাকুমা মাজারে নিয়ে যেতেন। ধূপ, মোমবাতি জ্বালাতেন। অন্য রকম পরিবেশে বড় হয়েছেন তিনি। এখন বয়কটের ডাক শুনে বিস্মিত শুভশ্রী। তাঁর মতে, এসব নিয়ে কথা বলা উচিতই নয়।
বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে রাজের ‘ধর্মযুদ্ধ’ কেও। অভিযোগ উঠেছে, এই ছবিতে হিন্দু ধর্মকে নিশানা করা হয়েছে। হিন্দুবিরোধী ছবি বলে অভিযোগ করে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ‘রাজ খান চক্রবর্তী’ বলে কটাক্ষ শানিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সনাতন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার সাহস এরা কোথা থেকে পায়?’
এমনি একটি পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে রাজ পালটা টুইটে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ধর্মযুদ্ধ’-এ কোথাও গলা কাটা তো দূরে থাক, এক ফোটা রক্তপাতও দেখানো হয় নি। আর তোমরা সিনেমাটা না দেখেই বয়কটের ডাক দিচ্ছো? তোমরা কী ছাগল না পাগল?’