বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় নয়া মোড়। ইতিমধ্যে এ মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), যা কেন্দ্র করে বর্তমানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বাংলায়। গতকাল ফের একবার আদালতে তোলা হলে অনুব্রত মণ্ডলকে পুনরায় চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এর মাঝেই সিবিআইয়ের নয়া দাবি ঘিরে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ল বঙ্গ রাজনীতিতে। তাদের দাবি, সীমান্তে গরু পাচার মামলায় প্রত্যক্ষভাবে মদত ছিল বীরভূম জেলা সভাপতির! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান, বর্তমানে অনুব্রত এবং তাঁর একাধিক আত্মীয় ও কর্মীদের থেকে যে সকল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তা সবকিছুই গরু পাচার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সূত্রের খবর, এ প্রসঙ্গে বর্তমানে একাধিক তথ্য প্রমাণ হাতে রয়েছে সিবিআইয়ের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর থেকেই একাধিক নয়া তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি অনুব্রত কন্যার নামে একাধিক কোম্পানি এবং জমির হদিশ পায় তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যে অনুব্রতর রাইস মিলে একাধিক গাড়ির খোঁজ মিলেছে। এসব কিছুই গরু পাচার মামলার সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান তাদের। এর মাঝেই গতকাল ফের একবার আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে এবং পরবর্তীতে তাঁকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বর্তমানে সিবিআইয়ের দাবি, সীমান্তে গরু পাচার কাণ্ডে যেভাবে সুনির্দিষ্ট কৌশল গড়ে তোলা হতো এবং পরবর্তীতে সেফ প্যাসেজের মাধ্যমে গরুগুলিকে পাচার করা হতো, তাতে প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতার। বর্তমানে তাদের হাতে এই প্রসঙ্গে একাধিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে সীমান্তে গরু পাচারকারীদের সরাসরি ভাবে মদত করতেন অনুব্রত মণ্ডল। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা যে ‘Omnipotent Facilitator’ হিসেবে সরাসরি ভাবে জড়িত রয়েছেন, সে বিষয়েই এদিন দাবি করেছে সিবিআই।