বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলায় জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। আর্থিক দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় ক্রমশ চাপ বেড়ে চলেছে সরকারের ওপর, অথচ বিনোদনের যেন কোন রকম অভাবই নেই! সম্প্রতি গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটি ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হয়ে চলেছে, যেখানে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সভাপতিকে অশ্লীল নাচ গানের আসরে কোমর দোলাতে দেখা গিয়েছে। একইসঙ্গে সেই আসরে টাকা ওড়ানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে আনোয়ারুল হক নামে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভিডিওটি ক্রমশ ভাইরাল হয়ে চলেছে। ভিডিওয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার কীর্তি উঠে আসায় নিন্দায় সরব হয়েছে সকলে। ঘটনাটি স্বাধীনতা দিবসের দিন। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে অশ্লীল নাচের আসরে বসে কিভাবে মেতে উঠলেন ওই ব্যক্তি, সেই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়ে কটাক্ষ করেছে বিভিন্ন মহল।
ঘটনাটি মালদহ জেলার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যেই ওই অশ্লীল নাচের আসর বসানো হয়। পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত নর্তকীর সঙ্গে কোমর দোলাতেও দেখা যায় আনোয়ারুল হককে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সভাপতিকে নাচতে দেখে হাততালিতে ফেটে পড়ে সেখানে উপস্থিত অসংখ্য অসংখ্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এমনকি, পরবর্তীতে টাকা ওড়ানোর দৃশ্যও দেখা যায় ভিডিওয়।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। মালদহ জেলার বিজেপির সভাপতি অম্লান ভাদুরি বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কৃতি বাঁচানোর কথা বলেছিলেন আর এখন এখানকার সভাপতি চটুল গানে কোমর দোলাচ্ছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। আসলে এত বিপুল পরিমাণ বেআইনি টাকা কামিয়েছে, এখন বুঝে উঠতে পারছে না কিভাবে সেগুলি খরচ করবে। সেই কারণে এই সকল কর্মকাণ্ড।”
অপরদিকে, ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই উধাও হয়ে গিয়েছেন আনোয়ারুল হক। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি বলেন, “বর্তমানে যে ঘটনার ভিডিও গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তার তীব্র নিন্দা করি। এই ঘটনাটি জেলা সভাপতিকে জানাবো।”