বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহার (Bihar) থেকে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে দিল্লি (Delhi), দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কখনও ইডি (ED) কখনও সিবিআই (CBI) একের পর এক বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। বুধবার সকালেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় অভিযান চালালো কেন্দ্রীয় সংস্থা। ভারতীয় রেলে চাকরি দেওয়ার বদলে জমি দুর্নীতি মামলায় আরজেডি এমএলসি সুনিল সিং-র বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে একজন এই সুনিল সিং। এই অভিযান যখন হয় তখন বিহার বিধানসভায় নিতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যাস্ত। এছাড়া আরজেডি সাংসদ আসফাক করিবের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এখানেই শেষ নয়, সিবিআই সাংসদ ফৈয়াজ আহমেদ এবং প্রাক্তন এমএলসি সুবোধ রায়ের বাড়িতেও হানা দেয় বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া বিহারে খনি দুর্নীতিত মামলা নিয়েও তদন্ত করছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিধায়ক পঙ্কজ মিশ্রকেও জেরা করে। তারপর তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় বলে জানা গেছে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। খনি মামলায় ইডির এই তৎপরতা বিহারের রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এছাড়া জানা যাচ্ছে, ইডি প্রেম প্রকাশের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। তবে জেএমএম-র পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। যদিও বিহারে ইডি এবং সিবিআইয়ের এই অতিতৎপরতা আরজেডির সমালোচনার মুখে পড়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, সিবিআই এবং ইডি বিজেপির শাখা হিসাবে কাজ করছে।
আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝাঁ বলেন ‘এই অভিযানকে ইডি, সিবিআই, বা আয়কর দফতরের এই অভিযান বলা উচিৎ নয়। বরং এটিকে বিজেপির অভিযানই বলা উচিৎ। এই সব কেন্দ্রীয় সংস্থা বিজেপির কথা মতোই কাজ করছে। আজ বিধানসভায় ফ্লোর টেস্ট। আর গোটা রাজ্যে জুড়ে কী চলছে। যদিও এটা হওয়ারই ছিল। বিজেপির রাগের কারণ হলো, কেন নিতিশ কুমার বিজেপিকে ছেড়ে আরজেডির সঙ্গে জোট করবে? এই জোট মানুষের কল্যাণের জন্যই করা হয়েছে।’
আরজেডি সাংসদ সুনিল সিং ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘এই অভিযান বিজেপির কথা মতোই হচ্ছে। এই অভিযানের কোনও কারণই নেই। বিজেপি ভাবছে ইডি-সিবিআই-এর ভয় দেখিয়ে কিছু বিধায়ককে নিজের দলে আনতে পারবে। কিন্তু তারা ভুল ভাবছে।’