বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুদিখানার দোকান সামলাতে তিনি আগেই শিখে গিয়েছেন। অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) ওরফে লক্ষ্মী কাকিমাকে এখন চেনে গোটা বাংলা। এবার ‘বেবিদি’কে দেখল যাদবপুর। রোদ বৃষ্টি সামলে যাদবপুর থানার মোড়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেন কনস্টেবল দেবীদি ওরফে অপরাজিতা আঢ্য। দেখে চক্ষু ছানাবড়া সবার।
কী ভাবছেন লক্ষ্মী কাকিমা লক্ষ্মী ভাণ্ডার ছেড়ে ট্রাফিক পুলিসের চাকরি নিলেন নাকি অপরাজিতা আঢ্য অভিনয়টাই ছেড়ে দিলেন? কোনোটাই নয়। সবটাই অভিনয়ের খাতিরেই। লক্ষ্মী কাকিমার মতোই দেবীদিও অপরাজিতার আরেক রূপ। ‘কলকাতা চলন্তিকা’র প্রচারেই রাস্তায় নেমেছেন তিনি।পাভেল পরিচালিত ‘কলকাতা চলন্তিকা’ ছবিতে কনস্টেবলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা আঢ্য। খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। আপাতত জোর কদমে প্রচার পর্ব চালাচ্ছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ইদানিং বাংলা ছবিও প্রচারের ক্ষেত্রে নতুন নতুন চমক আনছে।
এর আগে কিশমিশ, আয় খুকু আয়, মিনির মতো ছবিগুলি প্রচারের ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখিয়েছিল। দর্শকদের চমক দিতে রাস্তায় নেমেছিলেন রূপোলি পর্দার তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়াকে সম্পূর্ণ রূপে ব্যবহার করেছিলেন ছবি নির্মাতা সহ কলাকুশলীরা। কলকাতা চলন্তিকার পরিচালক পাভেলও প্রথম গান মুক্তির দিন থেকেই চমক দিচ্ছেন।
গীতবিতানের আদলে তৈরি মঞ্চ থেকে ছবির গোটা টিমকে নিয়ে প্রচার সেরেছিলেন পাভেল। এবার অপরাজিতা আঢ্য নামলেন রাস্তায়। সাদা কালো সালোয়ার কামিজ, চোখে রোদচশমা আর হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করলেন চলন্ত গাড়ি। অপরাজিতাকে অনেকেই থমকে গিয়েছিলেন এদিন। কাছে গিয়ে হাসিমুখে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক পাভেলও।
সংবাদ মাধ্যমকে অপরাজিতা বলেন, কলকাতা পুলিসকে নিয়ে গর্ব হয়। ওঁদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম ভাল লাগে। অনেকে পুলিসকে নিয়ে কটু কথা বলেন। কিন্তু অপরাজিতার মতে, এক দুজনের জন্য সবাইকে দোষারোপ করা মোটেই উচিত নয়। কলকাতা পুলিস সত্যিই সবার খুব সহযোগিতা করেন।