বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এইমুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে চড়তে শুরু করেছে ডার্বির পারদ। এটিকে মোহনবাগান দুটি ম্যাচে পরপর পয়েন্ট নষ্ট করার পরই সকলের ধারণা জন্মেছে যে চেষ্টা করলে হয়তো ইস্টবেঙ্গলও এটিকে মোহনবাগানকে আটকে দিতে পারে। সেই সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই এমনটা নয়। তবে সমর্থকদের মত উৎসাহে গা ভাসাচ্ছেন না কনস্ট্যানটাইন। প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগুলোর কথা ভাবছেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর বড় লক্ষ্য আজকের ম্যাচ অর্থাৎ রাজস্থানী ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে দলের সেরাটা বার করে আনা।
প্রথম ম্যাচে ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ভুগেছে একজন দক্ষ ফিনিশিংয়ের অভাবে। তুহিন দাস, অ্যালেক্স লিমাদের তৈরি সুযোগগুলো থেকে গোল করার কাজটা করতে পারেননি সুহেররা। এই বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে প্রাক্তন ভারতীয় কোচকে। ৫ বিদেশি শহরে পৌঁছে গেলেও এখনো সকলে ম্যাচ ফিট হয়ে ওঠেননি। ফলে দেশীয় স্ট্রাইকারদের ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে হবে তাকে, অন্তত আজকের ম্যাচে।
ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ বুধবার ফুটবলারদের ক্লোজড ডোর অনুশীলন করেন কনস্টানটাইন। ক্লাবে এসে ডার্বির টিকিট সংগ্রহ করার চেষ্টা করা সমর্থকদের কিছুটা হতাশ হতে হয়েছে তাই। তবে অনুশীলন শেষে ফুটবলাররা যখন মাঠের বাইরে পা রাখছিলেন তখন তাদের ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। অনুশীলনে সকল বিদেশি মাঠে নামলেও বৃহস্পতিবার কজনকে নামাবেন কনস্ট্যানটাইন সেটা এখনও স্পষ্ট করেননি।
ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ বিদেশি জর্ডন ডোহার্টি ও তরুণ ভারতীয় হিমাংশু জাংরা খুব দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাদের নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কনস্ট্যানটাইন তিনি জানিয়েছেন, “টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচই কঠিন। আমরা মাত্র দু সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। কন্ডিশনিংয়ের এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে আইএসএল এর আগে আমাদের মূল দল ঠিক তৈরি হয়ে যাবে।” আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে রাজস্থান ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে লাল হলুদ ব্রিগেড।