বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেয়েছেন সাজা প্রাপ্ত বন্দিরা। কিন্তু এই রকম মর্মান্তিক এক অপরাধের সাথে যুক্ত অপরাধীদের কেন সময়ের আগে ছেড়ে দেওয়া হল সেই নিয়ে উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
অন্যদিকে ধর্ষকদের গ্রামে ফিরে আসার পর রীতিমতো ভীত রাধিকাপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা। বহু মুসলিম পরিবার নানা আশঙ্কায় পাড়ি দিচ্ছেন অন্য গ্রামে।বিলকিস মামলায় অপরাধীদের পুনরায় জেলে না যাওয়া পর্যন্ত তারা কিছুতেই নিজেদের সুরক্ষিত মনে করতে পারছেন না।
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেলার কালেক্টরের কাছে গ্রামবাসীদের তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে সই করেছেন ৫৫ জন। তারা সেই চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন ওই ১১ জন অপরাধীকে পুনরায় জেলে পাঠানো হোক। এরই সাথে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। এই দুই বিষয় সুনিশ্চিত না করতে পারলে তারা রাধিকাপুর গ্রামে ফিরে যাবেন না।
দেবগড় বারিয়া নামের একটি অন্য গ্রামে বর্তমানে রয়েছেন রাধিকাপুর গ্রামের মুসলিম অধিবাসীরা। সেখানেই রয়েছেন বিলকিস বানো ও তাঁর পরিবার। গ্রাম ত্যাগী সমীর ঘাচি জানিয়েছেন, “আমরা এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। ওই ১১ জন যখন ফিরল তাদের বাজনা বাজিয়ে, বাজি ফুটিয়ে স্বাগত জানানো হলো। সেই দেখেই আমরা আরও ভীত হয়ে পড়েছি। অপরাধীরা ছাড়া পেলে এই রকম করে স্বাগত জানানো হবে কেন! এরপর আমার সিদ্ধান্ত নিই অন্য গ্রামে চলে যাব।”
প্রসঙ্গত ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় ২১ বছর বয়সী গর্ভবতী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। তার তিন সন্তানকেও সাথে খুন করা হয়। ২০০৮ সালে এই ঘটনা আদালত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু সময়ের আগে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে।