বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরও সম্পত্তির হদিশ মিলল সুকন্যা মণ্ডলের (Suknya Mandal) নামে। একাধিক ব্যবসায় অংশীদারিত্ব ও মালিকানা থাকার পাশাপাশি এবার অনুব্রতর (Anubrata Mandal) কন্যার নামে বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, ওই জমিগুলি রয়েছে বোলপুরের কাশীপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপরে।
পরপর ৩টি প্লটে যে জমি রয়েছে তার পরিমাণ প্রায় ১০ বিঘা। সবকটি প্লটই পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। প্রতিটি গেটে লেখা রয়েছে সিএম(মানা)। এখানেই প্রশ্ন উঠছে এই সিএম আসলে কি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডল? এলাকার মানুষজনের দাবি, ওই সমস্ত জমি অনুব্রত মণ্ডলের বলেই জানেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে জমিগুলি রয়েছে এএম অ্যাগ্রো এবং নির ডেভলপার নামে দুটি কোম্পানির নামে। ওই দুটি কোম্পানিরই ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ওইসব জমি। তবে যে ভাবে অনুব্রত কন্যা এবং তার ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি বের হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে শেষ পর্যন্ত দাঁড়াবে তা জানেন না কেউই।
সিবিআই সূত্রে আগেই জানা যায়, কেষ্টর মেয়ে সুকন্যার নামে বল্লভপুরে একটি জমির হদিশ পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎবরণের নামেও একটি জমির দলিল উদ্ধার হয়েছিল। সেই জমিটি ২০১৪ সালে রেজিস্ট্রি করা হয়। আরও কয়েকজনের নামে জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কেষ্টর বিশ্বস্ত দেহ রক্ষী সায়গল হোসেনের ‘ঘনিষ্ঠ’ মাধব কৈবর্ত্যের নামে কোনও সম্পত্তি আছে কি না, সে সম্পর্কেও খোঁজখবর করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিছু দিন আগেই গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান মাধব।
বীরভূম ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসের হেড ক্লার্ক সামশের আলি বলেন, ”২০০৮ সালের পর থেকে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে কোনও জমি কেনা হয়েছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। দলিল সংক্রান্ত তথ্য এবং কোনও সম্পত্তি লিজ নেওয়া হয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও তথ্য নেন ওঁরা।” তিনি আরও জানান ‘রেজিস্ট্রি হওয়া যে দলিল আমাদের সিস্টেমে আছে, তা আমরা দিয়েছি। ওঁরা যাদের নাম করে জমি সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নামও।’