বাংলাহান্ট ডেস্ক: চলতি বছরের সবথেকে বড় ফ্লপ বলে ঘোষনা করা হয়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’কে (Laal Singh Chaddha)। সুপারস্টার আমির খানের (Aamir Khan) এই নিয়ে দ্বিতীয় ছবি ব্যর্থ হল বক্স অফিসে। জীবনের চার বছর লাল সিং চাড্ডার পেছনে ব্যয় করেছেন আমির। জলের মতো বেরিয়ে গিয়েছে টাকা। মোট ১৮০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি লাল সিং চাড্ডা। অথচ বক্স অফিসের যা পরিস্থিতি তাতে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে প্রযোজকরা।
ফিল্ম বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আনুমানিক ৮০-৯০ কোটি টাকা তুলতে পারে লাল সিং চাড্ডা। সেই হিসাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন প্রযোজকরা। ছবির এই হালের জন্য ইতিমধ্যেই নাকি আমিরের দিকে আঙুল তুলেছে প্রযোজনা সংস্থা ভায়াকম ১৮। অভিনেতার দোষেই ডুবেছে লাল সিং চাড্ডা, অভিযোগ প্রযোজকদের।
তবে সাম্প্রতিক পাওয়া খবর বলছে, ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি পূরণ করতে নাকি নিজের পারিশ্রমিক ছেড়ে দেবেন আমির। অর্থাৎ চার বছরের পরিশ্রমের কোনো মূল্যই তিনি পাবেন না। সূত্রের খবর বলছে, আমির যদি পারিশ্রমিক দাবি করেন তাহলে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন প্রযোজকরা।
তবে আমির নাকি পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ছবির জন্য কোনো পারিশ্রমিক তিনি নেবেন না যাতে প্রযোজকদের খুব বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়। চার বছর এই ছবির জন্য দিয়েছেন আমির। ১০০ কোটির বেশি পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু প্রযোজকদের কথা ভেবে নিজের প্রাপ্য ছেড়ে দিচ্ছেন আমির।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, ছবির ব্যর্থতার জন্য সম্পূর্ণ রূপে অভিনেতাকেই দায়ী করছেন তাঁরা। লাল সিং চাড্ডা ছবিটির সহ প্রযোজনা করেছে আমির খান প্রোডাকশনস এবং ভায়াকম ১৮। সূত্রের খবর মানলে, হলিউডের ফরেস্ট গাম্পের হিন্দি রিমেক বানানোর জন্য স্বত্ব কেনার সময়ে ১৮০ কোটি টাকা দিয়ে আমিরকে সাহায্য করে ভায়াকম ১৮।
অথচ ছবির প্রচারের সময়ে সহ প্রযোজকের কোনো মতামতই নাকি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি আমির। নিজের ইচ্ছা মতো প্রচার করেছেন ছবির। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন নন ফিকশন শো গুলিতে গিয়ে প্রচার করার সিদ্ধান্তও নাকি আমির একা নিয়েছিলেন। ‘কফি উইথ করন’এ যাওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছিল ভায়াকম ১৮ কে।
ফলতঃ এখন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ায় আমিরও আকাশ থেকে সোজা মাটিতে ছিটকে পড়েছেন। আর তাঁকে টেনে নামিয়েছেন সহ প্রযোজকরাই। মিস্টার পারফেকশনিস্ট এর বাড়াবাড়ির জন্যই নাকি লাল সিং চাড্ডা ডুবেছে বলে অভিযোগ প্রযোজকদের।