বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৫ দিনের লড়াই শেষ। মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো তিথিকে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নার্সিং ছাত্রী তিথি দলুই। তিথির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও লোন না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল তিথি।
তার বাবা অভিযোগ করেছেন, “উচ্চ শিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে লোনের আবেদন করেছিলেন তিথি। বহুবার ব্যাংক থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দরজায় ঘুরেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মেলেনি লোন। সেই কারণেই মানসিক অবসাদে ১৪ই আগস্ট আমার মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।”
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেয়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা তিথি দলুই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বেঙ্গালুরুতে একটি নার্সিং কলেজে ভর্তি হন। পরিবার জানিয়েছে,যে সময় তিথি ওই নার্সিং কলেজে ভর্তি হয় সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় যে পড়াশোনা শেষ করতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মতো খরচ হতে পারে।
পরিবারের দাবি ,ভর্তির সময় এলাকাবাসী ও অন্যান্য কিছু আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় এক লক্ষ টাকা কলেজে জমা দিয়ে পড়াশোনা শুরু করে তিথি। পাশাপাশি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোনের জন্য আবেদনও করে সে। পরিবার জানিয়েছে সমস্ত রকম নথি জমা দিলেও কোথাও মেলেনি লোন। অন্যদিকে কলেজের তরফ থেকে জানানো হয় টাকা না দিলে তিথি পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন না। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগে ১৪ আগস্ট বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিথি।