‘গাছের তলায় এনে তোর জামাকাপড় খুলবো’, সৌগতকে তীব্র আক্রমণ দিলীপের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সর্বক্ষণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিরাজ করেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য হোক কিংবা নিজের দলের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য, সর্বদাই খবরের শিরোনামে থাকেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এবার বিতর্ক বহুগুণে বাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়কে (Sougata Roy) গাছের তলায় নিয়ে গিয়ে জামা কাপড় খোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন দিলীপবাবু।

গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনে একটি দলীয় সভায় যোগদান করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিজেপি নেতা। এক্ষেত্রে কারোর নাম না করে তিনি বলেন, “একটা মোটা কালো ধুমসা এমপি রয়েছে, যে কেবলমাত্র জুতো মারবে বলে। কিছু করতে পারে না।”

এরপরই তৃণমূল সাংসদকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কালকে লোকে তোর কাপড় খুলে নিতে পারে। তোর কলার ধরে গাছের তলায় নিয়ে এসে জুতোপেটা করতে পারি। আমি গাছের তলায় এনে তোর জামা কাপড় খুলবো। তৃণমূলের কোনো বাপের বেটার হিম্মত নেই আটকানোর।”

সৌগত বনাম দিলীপের দ্বন্দ্ব অবশ্য এই প্রথম নয়। অতীতেও একাধিকবার একে অপরকে কটাক্ষ করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন দুজনেই। সম্প্রতি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো ব্যক্তিদের আক্রমণ করে সৌগত রায় বলেন, “আমাদের দলের বিরুদ্ধে যদি কেউ কুৎসা করেন, তাহলে তাকে জুতোপেটা করা হবে। তাদের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি করা হবে।” পরবর্তীতে তার পাল্টা হিসেবে একের পর এক আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। এদিন সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে তুলে দিলীপবাবু বলেন, “আমরা জল খেয়ে বড় হয়েছি নাকি? আমরা কি মায়ের দুধ খাইনি? অশ্বত্থ গাছের তলায় তোকে তুলে নিয়ে আসব আর তারপর জুতোপেটা করব, জামা কাপড় পর্যন্ত খুলতে পারি।”

পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে এটা বলতে এসেছি যে, দিলীপ ঘোষ এখনো মরে যায়নি। অন্যের টাকা লুট করি না। কোন দুর্নীতি করিনি। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, হাওয়া ঘুরছে।” যদিও এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত শাসক দল কিংবা সৌগত রায়ের কোন রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পরবর্তী সময়ে দিলীপবাবুর এ মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ক আরো বহু গুনে বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্পর্কিত খবর

X