৭ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি পেতেই বিচ্ছেদ! CBI-র সামনে স্ত্রীর কেচ্ছা ফাঁস করলেন হতভাগা স্বামী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছু বছর আগে একটি হিন্দি গান খুব জনপ্রিয় হয়। ‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার মেরা…’। এই গানেরই বাস্তব রূপ দেখল বাংলা। বছর দুয়েক আগে বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস অভিযোগ করেন টাকা দিয়েই পাওয়া যায় চাকরি (TET Scam)। বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘সৎ রঞ্জনের’ বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরির দেওয়ার অভিযোগ তোলেন উপেনবাবু।

এবার সেই অভিযোগকেই সত্য বলে প্রমাণ করলেন এক শিক্ষিকার স্বামী। টেট পরীক্ষাতেই বসেন নি ওই শিক্ষিকা। শ্বশুরের পেনশনের ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে চাকরি পান। আর তারপরই স্বামীকে ডিভোর্স দেন ওই মহিলা। এবার প্রতিশোধ নিতে ‘টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া’ ওই শিক্ষিকার স্বামী সিবিআই-কে সমস্ত ঘটনাই জানিয়ে দেন।

ssc waiting listed candidates stage a protest 1367774

সেই সংক্রান্ত তথ্য শুক্রবারই প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জমাও করা হয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায় ২০১৪ সালে ‘টেট’ বা শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষাই দেননি। কিন্তু নগদ সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরিটি পেয়ে যান। টাকা নিয়েছিলেন বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা সেই চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন।

প্রাথমিক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থী মামলাকারী সৌমেন নন্দীর বয়ানে ২০১৭ সালে পাপিয়ার চাকরির কথা প্রকাশ্যে আসে। পাপিয়ার স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাসকে জেরা করে সিবিআই। জয়ন্তবাবু জানান, তদন্তকারীদের জানান, পাপিয়া ২০১২ সালে টেট পাশ করতে পারেননি। ২০১৪-য় টেটে বসেননি। ২০১৫-র অগস্টে জয়ন্তের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীননাথ বিশ্বাসের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা তুলে চন্দন মণ্ডলকে দেওয়া হয়। তার বিনিময়েই ২০১৭ সালে নদিয়ার হবিবপুরের পানপাড়া জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান পাপিয়া। এই নিয়েই এখন রীতিমতো সরগরম গোটা রাজ্য।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর