তেলেভাজার প্রতি অগাধ ভালোবাসা! সদ্যোজাতর নাম “পকোড়া” রাখলেন ব্রিটিশ দম্পতি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: তেলেভাজা এমনই একটি খাদ্য যা প্রত্যেকেরই খুব পছন্দের। আমাদের দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর বিপুল জনপ্রিয়তা পরিলক্ষিত হয়। তবে, এবার শুধু আমাদের দেশেই নয়, বরং তেলেভাজার জনপ্রিয়তা পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। আর সেই কারণেই এক ব্রিটিশ দম্পতি (British Couple) ভারতীয় তেলেভাজার প্রেমে পড়ে নিজেদের সদ্যোজাতের নাম রেখেছেন “পকোড়া”!

হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা এবার সামনে এসেছে। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনিতেই, পকোড়া হল এমন একটি তেলেভাজা যা আমাদের দেশে তুমুল জনপ্রিয়। পাশাপাশি, খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় সেটি। তবে, পকোড়ার প্রেমে পড়ে যে সেটা কারও নামও হতে পারে সেটাই করে দেখালেন ওই ব্রিটিশ দম্পতি।

   

এদিকে, সদ্যোজাত পকোড়াকে নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই সদ্যোজাতর একটি ছবিও সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগেও ভারতীয় নামে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের সন্তানের নাম রাখতে দেখা গিয়েছে একাধিক বিদেশিকে। এমনকি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত ক্রিকেটার জনটি রোডস তাঁর মেয়ের নাম রাখেন “ইন্ডিয়া”। কিন্তু, ভারতীয় কোনো খাবারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সন্তানের নাম রাখার বিষয়টি এই প্রথম সামনে এল।

কি ভাবে রাখা হল নাম: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আয়ারল্যান্ডের নিউটাউনঅ্যাবেতে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে। সেই রেস্তরাঁয় প্রায়ই যান ওই ব্রিটিশ দম্পতি। আর সেখানে গিয়েই তাঁদের সদ্যোজাতের নাম কোনো খাবারের নামে রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিকে, রেস্তরাঁটিতে ওই দম্পতির প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি ছিল পকোড়া। এমতাবস্থায়, তাঁরা তাঁদের সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের নাম “পকোড়া” রেখে দেন। জানিয়ে রাখি যে, গত ২৪ আগস্ট জন্ম হয় “পকোড়া”-র।

এদিকে, ওই রেস্তরাঁটির বিলের একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে “পকোড়া”-র বাবা জানিয়েছেন, “আমার স্ত্রী আমাদের সদ্যোজাত কন্যার নাম রেখেছে পকোড়া। এই রেস্তরাঁয় স্ত্রীর সবচেয়ে প্রিয় খাবার হল পকোড়া।” এমতাবস্থায়, ওই রেস্তরাঁ থেকে “পকোড়া”-র উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে , “তোমাকে স্বাগত জানাই পকোড়া। আমরা তোমার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম।” এদিকে, সদ্যোজাত “পকোড়া”-র এই প্রসঙ্গটি সামনে আসতে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, ছোট্ট “পকোড়া”-র জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন সকলে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর