২ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুকুরে মিলল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর দেহ! চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুকুর থেকে মিলল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের মৃতদেহ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা এলাকায়। গত দুইদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাকে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

গত শুক্রবার হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান ধনেশ রায়।তিনি ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না মেলায় পরিবারের তরফ থেকে অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু তাতে কোন ফল না হওয়ায় শনিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। তদন্ত শুরু হওয়ার পর পুলিশ এলাকার একটি বাঁশ বাগানে ধনেশ রায়ের স্কুটি আবিষ্কার করে। এরপর আজ রবিবার সকালে ধনেশ রায়ের মৃতদেহ ভেসে ওঠে মাধবডাঙ্গা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নিগমানন্দ আশ্রম সংলগ্ন ধরলা নদীতে। এই মৃত দেহ প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ আসার পর সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে।

   

মৃত দেহ আবিষ্কারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ,ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।

murder 2

তৃণমুল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানিয়েছেন, “ধনেশ রায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। দুদিন ধরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আঘাতের চিহ্ন রয়েছে মাথায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উনি খুন হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক না পারিবারিক কারণে তার মৃত্যু হল সেটি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।” পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর