বাংলাহান্ট ডেস্ক : জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজৌরি জেলার নৌসেরা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রেবেশের সময় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (BSF) হাতে ধরা পড়েছিল তবরক হুসেন নামে এক আতঙ্কবাদী। বাহিনীর গুলিতে জখম হয়েছিল সে। ভর্তি ছিল জম্মু কাশ্মীরের এক হাসপাতালে। আজ হৃদরোগে মারা যায় ওই জঙ্গি। মারা যাওয়ার আগে জেরায় সে স্বীকার করে পাকিস্তান সেনার মদতেই সে আসছিল ভারতে।
জম্মু-কাশ্মীরে ফিদাইন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল ওই জঙ্গি। এমনকি জেরায় স্বীকার করে ইতিমধ্যেই দুই’তিনটি ভারতীয় সেনা ছাউনি রেকি করে ফেলেছিল সে। জম্মু-কাশ্মীরের হাসপাতালে হৃদরোগে মৃত সন্ত্রাসবাদী তবরক হুসেনের বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। সেনা বাহিনীর গুলিতে আহত হওয়ার পর তাকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যায় সে।
হাসপাতালে সংবাদমাধ্যামকে তবরক জানায়, জম্মু কাশ্মীরে ফিদাইন হামলাই ছিল তার উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্যেরই তাকে এলওসি টপকে ভারতের ঢোকার ব্যবস্থা করে দেও পাকিস্তান সেনাই। সে আরও জানায়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব্জকোট গ্রামে বাড়ি তবরেকের। ২১ আগস্ট অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে আহত করে গ্রেফতার করা হয়।
সেনা সূত্রে খবর, লস্কর-ই-তইবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তবরক ছিল পাকিস্তান সেনার এজেন্ট। ভারতে অনুপ্রবেশ করার সময় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাকে গুলি করে। এরপরই চিকিৎসার জন্য তাকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অস্ত্রপ্রচারও করা হয়। এমন কি, তাকে বাঁচাবার জন্য নিজেদের শরীরের তিন বোতল রক্তও দেয় সেনা। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
গত ২৪ আগস্ট ভারতীয় সেনার ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার কপিল রানা জানান, আরও দুজন সঙ্গীর সঙ্গে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে হামলা করার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। তবরক এটাও জানায় পাকিস্তানের আইএসআই তাকে পাঠিয়েছে। এই কাজের জন্য তাকে ৩০০০০ পাকিস্তানি টাকাও দেওয়া হয়।