বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আপনার টাকা যদি সমবায় ব্যাঙ্কে থেকে থাকে, তাহলে এক্ষুনি খুলে নিন। নয়তো পরে পস্তাতে হতে পারে’, এদিন আচমকাই বিজেপি (Bharatiya Janata Party) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এহেন বক্তব্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে গোটা বাংলায়। হঠাৎ বিজেপি নেতার মুখে এহেন কথা কেন, তা ঘিরে রীতিমতো জল্পনার সৃষ্টি হয়।
এদিন সমবায় ব্যাঙ্ক প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলার মধ্যে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে যদি কেউ আমানত সঞ্চয় করে রাখেন, তাহলে তা ফেলে না রেখে তুলে নিন।” যদিও এর কিছু সময়ের মধ্যেই সুকান্তবাবুর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্যের পিছনে কারণ কি? এদিন জলপাইগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বর্তমানে তৃণমূল সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী। ওদের পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ওরা টাকা তুলে নেওয়ার পথে। ফলে যারা নিজেদের আমানত সঞ্চয় করে রেখেছে, তাদের সেই টাকা যদি সরকার তুলে নেয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ফলে ভবিষ্যতে যদি আপনারা টাকা তুলতে চান, তখন পস্তাতে হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব, টাকা তোলার চেষ্টা করুন।”
সুকান্ত মজুমদারের এদিনকার মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যদিও তৃণমূল শিবিরের পাল্টা দাবি, “একটি রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতি পদে থাকা সত্ত্বেও সুকান্ত মজুমদার যে মন্তব্য করে চলেছেন, তা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ওনার এ সকল মন্তব্য করা উচিত নয়।”
উল্লেখ্য, অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান দায়িত্ব ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে দলত্যাগ করার পরেই তাঁকে সেই পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর মুখে একাধিক সময় সমবায় ব্যাঙ্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন সুকান্ত মজুমদার। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি মামলা ক্রমশ সামনে এসে চলেছে। ফলে সেই সকল ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করেই বর্তমানে শাসক দলকে একঘরে করার পরিকল্পনা নিয়ে চলেছে বিজেপি। সেই কারণেই সুকান্তবাবুর এহেন মন্তব্য।
এছাড়াও এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “১০০ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা পাঠাতে চাইলেও তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে দুর্নীতি শুরু করেছে, তাতে সেই টাকা আসলেও গরিব মানুষের হাতে তা যাবে না। তৃণমূল নেতারাই সব লুটেপুটে খাবে।”