বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও সামনে এল তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মারাত্মক শোরগোল চলছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Mednipur) রাজনৈতিক মহলে। সোমবার নতুন করে ঘোষণা করা হয় তমলুক (Tamluk) ও কাঁথি (Contai) সাংগঠনিক জেলার একাধিক ব্লক কমিটি।
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে স্বদেশ দাসের জায়গায় বাপ্যাদিত্য গর্গকে এবং নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে মহাদেব বাগর পরিবর্তে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় শিবশঙ্কর বেরাকে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ২ জনকেই ব্লক সভাপতি মানতে রাজি নন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ। নতুন কমিটি নিয়ে বিক্ষুব্ধ তাঁরা।
আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুর্নবিবেচনা না করলে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা গণইস্তফা দেবেন বলেও হুমকি দেন বলে জানা যাচ্ছে। পুরো ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে জোড়া ফুল শিবির। নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পরিতোষ জানা বলেন, ‘আজ আমাদের কাছে কালা দিন। যেভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে গতকাল নতুন ২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মেনে নেব না। তাঁদেরকে আমরা কোনওভাবেই মানছি না। এরা একসময় বিজেপির হয়ে কাজ করত, দলের কোনও কর্মসূচিতে এদের কোনও দিন দেখা যায়নি। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আমরা ১ সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। প্রয়োজন হলে দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্দল হিসেবে চালাব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি কাজ।’
এরই মধ্যে আবার ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা, কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ সুফিয়ান। মঙ্গলবার সুফিয়ান তাঁর বাড়িতে অনুগামীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ব্যানার্জির চিফ ইলেকশন এজেন্টও ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘কর্মীদের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। কোনও আলোচনা ছাড়াই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা নন্দীগ্রামে আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে রয়েছি। রাজ্য কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে নেবে, যাঁদের সভাপতি করা হয়েছে তারা বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রাচীরের বাইরে ছিল।শুভেন্দুর হয়ে কাজ করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটার আগে এভাবে শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।’