বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় তিনি ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। বাঘে হরিণে তার কথায় এক ঘাটে জল খেত। সেই অনুব্রত মণ্ডল এখন নাকি নিজেকে নিয়োজিত করেছেন আধ্যাত্মিকতার জগতে! তার ঘনিষ্ঠরা অনেকেই জানেন যে অনুব্রত মণ্ডল মা তারার ভক্ত। গরু পাচার কাণ্ডে সেই অনুব্রতই এখন সিবিআই হেফাজতে।
কিন্তু সূত্রের খবর, জেল জীবনে অনেকটাই আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে অনুব্রতর। বিষয়টি ঠিক কি তা আপনাদের খুলে জানানো যাক।জেলের তরফে জানানো হয়েছে, আসানসোলের জেলে যে সেলে অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন সেখানে মঙ্গলবার প্রবেশ করে হতভম্ব হয়ে যান কারারক্ষীরা।
জেলে অনুব্রতর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা সেলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে পাননি। এরপর ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে তারা লক্ষ্য করেন যে সেলের এক পাশে বসে ধ্যানমগ্ন অনুব্রত! তার পাশেই রয়েছে মা চন্ডী ও তারা মায়ের কিছু বই। তখন তিনি গভীর ধ্যানে মগ্ন। এর খানিক পর ধ্যান ভঙ্গ হয় অনুব্রতর। এরপর ধীরে ধীরে শরীর চালনা শুরু করেন তিনি। তার সাথে জোরে জোরে হাততালি দিয়ে নিতে থাকেন মা তারার নাম।
চিরকাল “ধমকানি চমকানি” দেওয়া অনুব্রতর এই রূপ দেখে অনেকেই ভিমরী খাচ্ছেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে জেলের মধ্যে বন্দি থেকে অনুব্রত মণ্ডলের কি আধ্যাত্মিক অন্বেষণ ঘটছে? সূত্রের খবর, অনুব্রত যে চৌকিতে ঘুমান তার মাথার দিকে লাগানো থাকে মা তারার একটি ছবি। একাকী সময়ে মাঝে মাঝেই মা তারার নাম নিয়ে তাকে স্মরণ করছেন অনুব্রত। বীরভূমের বাদশার এরূপ আধ্যাত্মিকতা দেখে অনেকের মনে তাকে নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।