বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে হুংকার ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কোচ জুয়ান ফের্নান্দো। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি গোল খেতে ভয় পান না। দাবি করেছিলেন এটিকে মোহনবাগান গোল খেলে তা পরিশোধ করতে জানে। কিন্তু সবুজ মেরুণ কোচের সেই দাবি আংশিক সত্য হয়েই থেকে গেল। এএফসি কাপের আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হল এটিকে মোহনবাগানের।
এএফসি কাপেরইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে খাতায়-কলমে পিছিয়ে থাকা কুয়ালালামপুর সিটির বিরুদ্ধে আজ মাঠে নেমেছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। সমর্থকরাও “রিমুভ এটিকে” বাণী আপাতত মুলতবি রেখে ভিড় জমিয়েছিলেন দলকে সমর্থন যোগাতে। কিছুদিন আগেই ভারতের ওপর ফিফার নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে ক্লাব এই কথা মাথায় রেখে সকল সবুজ মেরুন সর্মথকরা এক হয়ে মাঠে গলা ফাটাতে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচ দেখার পরও অনেকেরই মনে হবে যে নিষেধাজ্ঞা যদি আরো কয়েকটা দিন থাকতো তাহলে হয়তো তাদের পক্ষে ভালো হতো। অন্তত এইভাবে লজ্জার হার তাদের দেখতে হতো না।
হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন গোল আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কুয়ালালামপুর সিটির ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক জোসু দূরপাল্লার শট থেকে একটি বিশ্বমানের গোল করে নিজের দলকে এগিয়ে দেন। এরপর গোল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকেন লিস্টন কোলাসরা। যখন মনে হচ্ছিল যে সমস্ত আশা শেষ তখন গোল করে সমতা ফিরিয়েছিলেন ফার্দিন মোল্লা। কিন্তু তারপর এটিকে মোহনবাগানের দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে আর এক মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে ফেলে কুয়ালালামপুর।
এই ম্যাচের পর জুয়ান ফের্নান্দোর দল গঠন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। দলের লেনি রদ্রিগেজের মতন ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও তার বদলে দীপককে নামিয়েছিলেন তিনি। চূড়ান্ত ফ্লপ করলেন দীপক। সেইসঙ্গে পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা নিয়ে কলকাতায় পা রাখা পল পোগবার ভাই ফ্লোরেন্তিনো পোগবাও অত্যন্ত নিম্নমানের ফুটবল খেলবেন। অস্ট্রেলিয়ার এ লিগ থেকে আসা এখনো মানিয়ে নিতে পারেননি দলের সাথে। সবমিলিয়ে আইএসএল এর আগে চিন্তা বেশ খানিকটা বাড়লো এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের।
মরশুম শুরুর আগে রয় কৃষ্ণার মতো স্ট্রাইকারকে ছেড়ে দিয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। রয় বেঙ্গালুরুর হয়ে সুনীলের সাথে জুটি বেঁধে নিয়মিত গোল করছেন। সেইসঙ্গে এএফসি কাপের জন্য ডুরান্ড কাপকেও বেশি গুরুত্ব দেননি সবুজ-মেরুন কোচ। কিন্তু এখন একুল ওকুল দুই কুল গেল সবুজ মেরুন সমর্থকদের। অনেকেই কোচের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আইএসএলের আগে দলকে ছন্দে ফেরাতে পারবেন কি জুয়ান? উত্তর দেবে সময়।