বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। মা দূর্গা ছেলেমেয়েদের নিয়ে মর্ত্যের পথে রওনা দিতেই চলেছেন। সর্বত্র পুজোর (Durgapuja) প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। বিনোদন দুনিয়াও নিজের মতো করে প্রস্তুত হচ্ছে দূর্গাপুজোর জন্য। টানা চারটে দিন হুল্লোড় করে কাটাবে বঙ্গবাসী। আর হইহুল্লোড়ে সিনেমার জায়গা থাকবে না তা কি হয়?
তাই টলিউড কোমর বাঁধছে একগুচ্ছ ছবির পুজো রিলিজের জন্য। তালিকায় প্রসেনজিৎ থেকে দেব, আবির চট্টোপাধ্যায় থেকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে ইশা সাহা কে নেই! কোন কোন ছবি মুক্তি পাচ্ছে পুজোর সময়ে আর কোন দিন তা দেখে নিন চটজলদি-
কাছের মানুষ– ‘ককপিট’ এর পর আবার এই ছবিতেই একসঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন দেব এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পথিকৃৎ বসুর পরিচালনায় ছবিতে দেখা যাবে ইশা সাহা এবং সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কেও। ছবির ট্রেলার বলছে, দেব ওরফে কুন্তলের মা রোগগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। মাকে বাঁচানোর জন্য দরকার অনেক টাকা।
সে সময়েই তার জীবনে হাজির বিমা সংস্থার এজেন্ট সুদর্শন, যে ভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ। না, দেবদূত নয়, বরং মৃত্যুদূত হয়ে কুন্তলের জীবনে পা রাখেন তিনি। কুন্তলকে বোঝান, কলিযুগে বাঁচতে গেলে প্রয়োজন টাকা। মাকে বাঁচাতে কুন্তল যদি মরে যায় তাহলে লাভ দু পক্ষেরই। টাকা পেয়ে কুন্তলের মায়ের চিকিৎসাও হবে। অন্যদিকে সুদর্শনেরও পকেট ভারী হবে। এদিকে এই সময়েই কুন্তলের জীবনে প্রবেশ করে আরো একজন মানুষ, যে চরিত্রে রয়েছেন ইশা।
তিনি কুন্তল ওরফে দেবকে বোঝান, জীবনে টাকাটাই সব নয়। কাছের মানুষদেরদের কথাও তো ভাবতে হবে। কিন্তু সুদর্শন মরিয়া। জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে শেষমেষ কে জিতবে আর কে হারবে তা জানার জন্য পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে কাছের মানুষ।
কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন– পুজোর সময় আর রহস্য থাকবে না তা কি হয়? সোনাদাকে ইতিমধ্যেই ভালবেসে ফেলেছে দর্শকরা। সোনাদা রূপে নতুন গল্প নিয়ে ফিরতে চলেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে অর্জুন চক্রবর্তী এবং ইশা সাহা। এই সিরিজের আগের দুটো ছবি গুপ্তধনের সন্ধানে এবং দুর্গেশগড়ের গুপ্তধনও বেশ হিট হয়েছিল।
কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন পরিচালনা করছেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে এই ছবি লার্জার দ্যান লাইফ হতে চলেছে বলে জানান পরিচালক। কাছের মানুষের সঙ্গে কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধনও ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে।
বৌদি ক্যান্টিন– পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ট্রেলারে নারী স্বাধীনতার আসল অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভশ্রী। ছবিতে তাঁর চরিত্র, পৌলমী পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। তার কথায়, বাঙালি বাড়িতে মেয়ে মানেই টিচার আর ছেলে মানেই সরকারি চাকুরে।
কিন্তু শিক্ষিকার কাজ করলেও পৌলমীর প্যাশন রান্নাবান্না। আধুনিকা নারী হয়েও খুন্তি নাড়তে কোনো লজ্জা নেই তার। বরং কাজটা সে ভালবেসেই করে। স্বামীর টিফিনের খাবার বেশি যায় সহকর্মীদের পেটেই। সকলেই পৌলমীর হাতের গুণের গুণগ্রাহী। সবার ইচ্ছাটা তো আলাদা। আর ইচ্ছার মর্যাদা না দিলে সাফল্যের মজা পাওয়া যায় না বলেই মত পৌলমী ওরফে শুভশ্রীর।
গল্প যত এগোয় ততই পৌলমীর জীবনেও নানা টানাপোড়েন আসতে থাকে। সবশেষে মনের ইচ্ছাকে কি মর্যাদা দিতে পারবে পৌলমী? উত্তর পাওয়া যাবে কিছুদিন পরেই। শুভশ্রী পরমব্রত ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন সোহম চক্রবর্তীও।
বিজয়া দশমী– পুজোর আগেই বিজয়ার কথা শুনলে মন খারাপ হয় ঠিকই। তবে পুজো আর থ্রিলার ছবির মেলবন্ধন বরাবরই বেশ জমাটি থেকেছে। পরিচালক সৌভিক দে-র ‘বিজয়া দশমী’তে থাকছেন রজতাভ দত্ত, আরিয়ান ভৌমিক, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়দের।