বাংলাহান্ট ডেস্ক: আর ১৮ দিন বাকি মহালয়ার (Mahalaya)। এ বছর ২৫ সেপ্টেম্বর পড়েছে মহালয়া। আপামর বাঙালির কাছে এই দিনটার গুরুত্ব অপরিসীম। এদিন থেকেই পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষ। ভোর হয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনে। আকাশবাণীতে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ শেষ হওয়ার পরেই টেলিভিশনের পর্দায় শুরু হয় মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান।
এখন বিভিন্ন চ্যানেলে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে হয় মহালয়ার অনুষ্ঠান। কে কোন বছর মহিষাসুরমর্দিনী সাজবেন তা নিয়ে চলে জল্পনা, চ্যানেলগুলির মধ্যে রেষারেষি। কিন্তু যখন এত চ্যানেল ছিল না, এত অনুষ্ঠানের আধিক্যও ছিল না, তখনো কিন্তু টেলিভিশনে মহিষাসুরমর্দিনী হত। আর সেখানে মা দূর্গার ভূমিকায় দেখা যেত সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sanjukta Banerjee)।
তিনিই দর্শকদের কাছে দূরদর্শনের মহালয়ার অনুষ্ঠানের প্রথম মহিষাসুরমর্দিনী। তখন না ছিল সাজের বাহার আর না ছিল ভিএফএক্স। কিন্তু সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখের দীপ্তি, তেজ ছিল সহজাত। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাঁকে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনো সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানই অনেকের কাছে প্রিয় হয়ে থেকে গিয়েছে।
শ্রী শিক্ষায়তন কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময়ই মহালয়ার অনুষ্ঠানে দেবী দূর্গার জন্য মনোনীত হয়ে যান সংযুক্তা। দু মাস ধরে ওয়ার্কশপ করানো হয়েছিল তাঁকে। শেখানো হয়েছিল ত্রিশূল, চক্র ধরা, ফাইট সিকোয়েন্স। দূরদর্শনের মহালয়ার নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সনৎ মোহান্ত। পরিচালক প্রযোজক শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে এবং নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল দূরদর্শনের মহালয়ার অনুষ্ঠান।
সেই সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কানাডার বাসিন্দা। একটি নাচের স্কুল রয়েছে তাঁর। আমেরিকা এবং কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পুজোর সময়ে নাচের অনুষ্ঠান করেন সংযুক্তা ও তাঁর নাচের স্কুলের শিক্ষার্থীরা।