বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে (UP) গোমতি নদীর ধারে অবস্থিত এক শয়নরত হনুমান মন্দিরে (Hanuman Temple) ঢুকে মূর্তির উপর উপর ভাঙচুর চালাল তৌফিক আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। মন্দিরে থাকা একটি পতাকাও ছিঁড়ে ফেলে সে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তৌফিক নামে ওই ব্যক্তি মাথায় তিলক লাগিয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মন্দিরে ঢোকে। তারপর সে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তোলে, এবং এর পরই একটি ইঁট নিয়ে মূর্তি ভাঙতে শুরু করে।
ওই মন্দিরের পুরোহিত জানান, মন্দির সকলের জন্যই খোলা থাকে। প্রথমি তৌফিক মাথায় টিকা লাগায়। তারপর মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার চেষ্টা করে। ভাঙচুর করার পর পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতার করে তখন সে নিজের নাম তৌফিক আহমেদ বলে জানায়।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ-এর চৌক থানা এলাকার ঘটনা এটি। গোমতির ধারে এক মন্দিরে ঢুকে শয়নরত হনুমান মূর্তিকে ভাঙচুর করে তৌফিক আহমেদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মন্দিরে ঢোকার আগে তৌফিক নিজের নাম শিবা বলে। এরপর মন্দিরে ঢুকে দুটি মূর্তি ভেঙে ফেলে সে। এই মন্দিরটি আবার একটি মসজিদের সামনেই অবস্থিত।
উপস্থিত লোকজন যখন তাকে বাধা দিতে যায়, সে তাঁদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার শুরু করে। তারপর লোকজন তাকে ধরে মারধর শুরু করে। তখনই ওই মন্দিরের প্রধান ডা. বিবেক টাংগরী সেখানে উপস্থিত হন। কোনও ভাবে ভীরের হাত থেকে ছাড়িয়ে অভওযুক্ত তৌফিককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। মন্দিরের পুরোহিত জানান, তৌফিক টিকা লাগিয়ে মন্দিরের ভিতর যায়। তাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করলে সে নিজের নাম শিবা বলে। সে মন্দির দেখতে এসেছে এমনই দাবি করে। এরপরই ইঁট মেরে মন্দিরে হনুমান মূর্তি ভেঙে দেয়। এরপরই গরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অফিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার নেতা শিশির চতুর্বেদী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। অভিযুক্ত তৌফিকের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তিনি।