বাগুইআটি কাণ্ডের ছায়া বৈদ্যবাটিতেও? তিনদিন ধরে নিখোঁজ খুদে স্কুলপড়ুয়া, আতঙ্কে পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিন দিন ধরে নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্র। বাগুইআটি ঘটনার কথা মনে করে সন্ত্রস্ত পরিবার। পরিবারের অভিযোগ এলাকারই এক গৃহ শিক্ষিকা অপহরণ করেছেন সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রকে। অভিযোগ ওই গৃহ শিক্ষিকার মেয়ের সাথে অশালীন আচরণ করে স্কুল ছাত্রটি। এরপর ঐ শিক্ষিকা ও তার স্বামী স্কুল পড়ুয়াকে বেধরক মারধর করেন। এরপর থেকেই সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না ওই স্কুল ছাত্রের। ওই স্কুল ছাত্রটি বৈদ্যবাটির কল্পনা বসু অ্যাকাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।

কিছুদিন আগেই বাগুইআটিতে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর খুনের ঘটনা ভয় ধরাচ্ছে নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের মধ্যে। পরিবার সূত্রের খবর, বৈদ্যবাটির কাজিপাড়ার বাসিন্দা নিখোঁজ ছাত্র অরিত্র জাহানারা বিবির কাছে পড়তে যেত। গত ৫ই সেপ্টেম্বর অরিত্র জাহানারা বিবির বাড়ি যায়। তখন ওই বাড়িতে শুধুমাত্র জাহানারা বিবির মেয়ে ছিল। জানা যাচ্ছে সেই সময় অরিত্র ওই মেয়েটির সাথে অশালীন আচরণ করে। এরপর মেয়েটি তার মা অর্থাৎ গৃহ শিক্ষিকা জাহানারা বিবিকে সব ঘটনা জানায়। অভিযোগ জাহানারা বিবি ও তার স্বামী এরপর অরিত্রকে বেধড়ক মারধর করেন।

   

জাহানারা বিবি পুরো ঘটনা অরিত্রের বাড়িতে ফোন করে জানায়। এরপর থেকেই সন্ধান মিলছে না অরিত্রর। সর্বত্র খোঁজাখুঁজির পর ব্যর্থ হলে অবশেষে শেওড়াফুলি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন অরিত্রর বাবা তারক রায়। অরিত্রের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে গৃহ শিক্ষিকার পরিবার কোথাও আটকে রেখেছে।

গৃহশিক্ষিকা জাহানারা বিবি তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, গত সতেরো বছর ধরে তিনি পড়াচ্ছেন। এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। ইচ্ছাকৃত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন তার মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় অরিত্রকে শুধুমাত্র চড় মেরেছিলেন। গৃহ শিক্ষিকার দাবি এই ঘটনা জানাজানি হতে ভয় পেয়ে হয়তো অরিত্র কোথাও চলে গেছে।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছে যে এর আগেও অরিত্র বাড়িতে বকাবকি খেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তারা সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেছেন। রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ ছাত্রের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর