বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দল এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলো। অনেকটা হয়তো বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ভারত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে এশিয়া কাপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে গুরুত্ব না, দিলে ভুগতে হবে বাকি দলগুলিকে। গতকাল আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তান জয় পাওয়ার পরই ভারতের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ফলে আজ ফুরফুরে মেজাজে ম্যাচ খেলতে নেমে আফগানিস্তানকে কার্যত গুড়িয়ে দিচ্ছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুল এবং বিশেষ করে বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ে ভর করে আফগানিস্তানের সামনে পর্বতপ্রমাণ রানের টার্গেটে রেখেছে ভারতীয় দল। লোকেশ রাহুল চোট কাটিয়ে ফেরার পর নিজের প্রথম অর্ধশতরান পেয়েছেন আজ। তিন বছরের খরা কাটিয়ে অবশেষে শতরানের দেখা পেয়েছেন বিরাট কোহলি। কেউই হয়ত ভাবতে পারেনি যে কোহলির ৭১ তম শতরানটি আসবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। রাহুলের ৬২ ও কোহলির ১২২-এ ভর করে ভারত আফগানিস্তানকে জয়ের জন্য ২১২ রানের টার্গেট দিয়েছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভুবনেশ্বর কুমারের সুইংয়ের সামনে বেকায়দায় পড়ে যায় আফগান ব্যাটাররা। নিজের প্রথম ওভারে দুটি দুর্দান্ত অভিনয় নিয়ে আফগান ওপেনারদের প্যাভেলিয়নে ফেরান ভুবনেশ্বর। নিজের দ্বিতীয় ওভারটিতে মেডেন সহ আরো দুই উইকেট তোলেন ভূবি। তার ফ্রম দেখে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল তাকে পরপর চারবার করিয়ে নেয়। এর মধ্যে তিনি আরও একটি উইকেট পান। তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-১-৪-৫। গত কয়েকদিন তার যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছে। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে সেই সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার।
আফগানিস্তানের হয়ে কিছুটা প্রথম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান এবং রশিদ খান। তাদের মধ্যে ৩৩ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু দীপক হুডাকে বল করাতে এনে রশিদের উইকেট তুলে নেন রাহুল। পর মুজিবুর রহমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে আফগানিস্তানের লজ্জা কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেন ইব্রাহিম। তাদের মধ্যেও ৩৩ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। শেষপর্যন্ত ইব্রাহিম অপরাজিত থাকেন ৫৯ বলে ৬৪ রান করে। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করে আফগানরা। ভারত জয় পায় ১০১ রানের ব্যবধানে।
আজকের ম্যাচে জিতলেও এশিয়া কাপে এই ম্যাচ সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন ছিল। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কোহলি এবং ভুবনেশ্বর কুমারের ফর্মে ফেরার খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আফগানিস্তানের যে ছোট দল নয় তা চলতি টুর্নামেন্টেই তারা একাধিকবার প্রমাণ করেছেন। হ্যাঁ, তবে এই যুক্তি কিছুটা খাটতে পারে যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবহাওয়ায় পরপর দু’দিন পাকিস্তান এবং ভারতের মতো হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে খেলতে নামা আফগানিস্তান এত বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত ছিল না। তবে মানসিকভাবে এই ম্যাচ থেকে অনেক শক্তিশালী হয়ে হয়তো পরের ম্যাচ করিতে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামতে পারবে ভারতীয় দল।