বাংলাহান্ট ডেস্ক : আপাতত স্বস্তি পেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC)। ১৯ জন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির উপর যে মামলায় হয়, সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) ওই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। শুক্রবার সেই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হল বলে জানা যাচ্ছে।
কীভাবে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি এত ব্যপক হারে বাড়ছে? এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। তিনি আবেদনে বলেন, ২০১১ সাল থেকে নেতা-মন্ত্রীদের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি।
সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করা হয় তাতে নাম আছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, স্বর্ণকমল সাহা, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, অমিত মিত্র, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায় আগে থেকেই যুক্ত ছিল আয়কর দফতর। পরে সেই মামলার শুনানিতে ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট-কে পার্টি করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে নেতা-মন্ত্রীরা বলেন, “রোজগার করাটা কোন অন্যায় নয়। আমরা রোজগার করেছি, কোন দুর্নীতি নয়”। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যায় বাংলার শাসক দল। কোর্ট আপাতত স্থগিতাদেশ দেয় এই মামলার উপর। শীর্ষ আদালতের রায় তৃণমূলকে বেশ খানিকটা স্বস্তি দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।