বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পড়ুয়াদের কাছে একটি অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হল NEET (National Eligibility Entrance Test)। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, ডাক্তারি পড়ার জন্য সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরই বঙ্গতনয়াদের জয়জয়কার সামনে এসেছে। চলতি বছর এই পরীক্ষায় দুর্দান্ত সাফল্য হাসিল করেছে বাংলার মেয়েরা।
ফলাফল অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলে রাজ্যের মধ্যে প্রথম তিন স্থানাধিকারীর মধ্যে তিনজনই মেয়ে। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে প্রথম দু’জনের স্থান আবার দেশের সেরা ২০-র মধ্যেও রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ইছাপুরের সায়ন্তনী চট্টোপাধ্যায়। র্যাঙ্ক অনুযায়ী, সমগ্ৰ দেশে তাঁর স্থান ১১। অপরদিকে, রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন গড়িয়ার অনুষ্কা মণ্ডল। তাঁর র্যাঙ্ক হল ১৪।
অপরদিকে, মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরা বাংলায় তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর র্যাঙ্ক হল ২২। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছরে National Eligibility Entrance Test-এ মোট ১৮ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি, আমাদের রাজ্য থেকে ৮৬ হাজার ৬০৭ জন পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দেন। আর তাঁদের মধ্যেই দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য পেয়েছেন রাজ্যের মেয়েরা। এদিকে, সারা দেশের মহিলা নিট পরীক্ষার্থীদের নিরিখে সায়ন্তনী, অনুষ্কা এবং দেবাঙ্কিতা রয়েছেন প্রথম দশে।
উল্লেখ্য যে, নিট পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছেন রাজস্থানের তনিষ্কা। পাশাপাশি, মেয়েদের মধ্যে সায়ন্তনী, অনুষ্কা এবং দেবাঙ্কিতার স্থান দেশে যথাক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম এবং নবম। এদিকে, নিজেদের সাফল্যের গোপন রহস্যও ফাঁস করেছেন এই কৃতী পড়ুয়ারা। এই প্রসঙ্গে সায়ন্তনী জানিয়েছেন, জোর করে পড়াশোনার বদলে ভালোবেসে পড়লেই মিলবে সাফল্য।
পাশাপাশি, পড়া ফেলে না রেখে প্রতিদিনের পড়া সঠিকভাবে করে যাওয়াতেই বিশ্বাসী অনুষ্কা। আপাতত তাঁর লক্ষ্য হল দিল্লি থেকে ডাক্তারি পড়া। অপরদিকে, দেবাঙ্কিতা জানিয়েছেন, প্রত্যেক শনি ও রবিবার ভোরবেলায় বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে খড়্গপুরে অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে যেতেন তিনি। রাত্রে বাবার সঙ্গে ফিরতেন বাড়ি। আর এভাবেই পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন সাফল্যও। দিল্লির এইমস থেকে পড়তে চান দেবাঙ্কিতা।