বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু দুটো মামলায় হাজতবাস করার পর অবশেষে জামিন পেলেন কামাল আর খান (Kamal R Khan)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর ফের আরেকটি মামলায় গত ৩ রা সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন তিনি। ৮ সেপ্টেম্বর দুটি মামলাতেই শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান কেআরকে।
প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান এবং ঋষি কাপুর সম্পর্কে অসম্মানজনক টুইট এবং এক তরুণী অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল আর খানকে। দুটোই কয়েক বছরের পুরনো মামলা। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেআরকে কে। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।
আদালতের নির্দেশ শোনার পরেই হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেআরকে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তার কিছুদিন পর ৩ রা সেপ্টেম্বর ফের গ্রেফতার হন তিনি। এবার অভিযোগ আরো গুরুতর। এক উঠতি অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
১৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন কেআরকে। থানে পুলিস স্টেশনে জামিন সংক্রান্ত কাজকর্ম মেটার পর মুক্তি পান কেআরকে। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি। যদিও তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সোমবার থানে পুলিস স্টেশনে এসে হাজিরা দিতে। মুম্বই ছাড়ার অনুমতি নেই কেআরকের।
এদিন কেআরকের ২৩ বছর বয়সী ছেলে ফয়জল বাবার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করে লেখেন, ‘আমি কেআরকের ছেলে ফয়জল কামাল। কিছু মানুষ মুম্বইয়ে অত্যাচার করে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে বাবাকে। আমার বয়স মাত্র ২৩ বছর, লন্ডনে থাকি। আমি জানিনা বাবাকে কীভাবে সাহায্য করব। আমি অভিষেক বচ্চন, রিতেশ দেশমুখ এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জির কাছে অনুরোধ করছি আমার বাবাল প্রাণ বাঁচাতে। আমি আর আমার বোন বাবাকে ছাড়া বাঁচব না।’
ফয়জলের টুইটের উত্তরে নানান মন্তব্য করেছেন নেটনাগরিকরা। কেউ তাঁকেই পরামর্শ দিয়েছেন, বাবাকে বোঝাতে যে বুঝেশুনে টুইট করতে। আবার কয়েকজন সহানুভূতিও দেখিয়েছেন। ‘স্ট্যান্ড উইথ কেআরকে’ ট্রেন্ড শুরু হয়েছে।