বাংলাহান্ট ডেস্ক: খ্যাতির ফাঁদ পাতা বলিউডে (Bollywood)। চটজলদি লাইমলাইট পাওয়ার জন্য বাঁকাচোরা পথ সবসময় তৈরিই থাকে গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে। কথাতেই আছে, প্রদীপের নীচেই সবথেকে বেশি অন্ধকার। যে চাকচিক্য সর্বস্ব জগতের বাইরের রূপটা দেখে তরুণ তরুণীরা এখানে পা রাখে, বাইরের আবরণ সরলেই ভেতরের কঙ্কালসার চেহারা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।
বলিউড সম্পর্কে অনেক ধরণের কথা শোনা যায়। এই ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীরাই মুখ খোলেন অন্ধকার চোরাগলিগুলোর সম্পর্কে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি কেউ কারোর আপনার হয় না। খ্যাতির লোভে সবাই অন্ধ হয়ে থাকে। আর সেই লোভের ফায়দা ওঠায় আরেকদল। কাস্টিং কাউচ, মিটু বিদ্রোহ কম শোনা যায়নি বলিউডে।
মূলত ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা অভিনেতা অভিনেত্রীরাই এই ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন বেশি হন। দ্রুত সাফল্য, লাইমলাইট পাইয়ে দেওয়ার বদলে কুপ্রস্তাব দিতে দুবারও ভাবেন না নামী পরিচালক, প্রযোজকরা। অনেকে সেই বাঁকা রাস্তায় হাঁটতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার মুখের উপরে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে নিজের পায়ের জমি শক্ত করেন। এমন কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন যারা বলিউডের বাইরে থেকে এসে কুপ্রস্তাব পেয়েছেন।
মমতা কুলকার্ণি– সলমন খান, অক্ষয় কুমারের মতো বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন মমতা। আশিক আওয়ারা, ক্রান্তিবীর সহ বেশ কিছু হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন সিনেপ্রেমীদের। ১৯৯১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মমতা। পরিচালক রাজ কুমার সন্তোষীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অভদ্রতার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। এরপরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলিউড থেকে।
কঙ্গনা রানাওয়াত– অত্যন্ত কম বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই চলে এসেছিলেন কঙ্গনা। বহু বার প্রত্যাখ্যানের পর ‘গ্যাংস্টার’ ছবির হাত ধরে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর। বহুদিন পর্যন্ত ভাল সিনেমা পেতে, ভাল চরিত্র পেতে স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকে।
হিমাচল প্রদেশের মেয়ে কঙ্গনা। কোনো রকম যোগাযোগ ছাড়াই বলিউডে চলে এসেছিলেন তিনি। হয়েছে ভয়াবহ অভিজ্ঞতাও। কঙ্গনা জানান, এক প্রযোজক তাঁকে বড় একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিনিময়ে যৌন সুবিধাও পেতে চেয়েছিলেন তিনি। মুখের উপরে না করে দিয়েছিলেন কঙ্গনা।
সানি লিওন– অবাক লাগলেও সানিও ইন্ডাস্ট্রিতে কুপ্রস্তাব পেয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁর অতীত জীবন একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অ্যাডাল্ট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলিউডে পা রেখেছিলেন সানি। তিনি নিজের অতীতটা থেকে পালাতে চাইলেও অতীত পিছু ছাড়েনি তাঁর।
বলিউডে এসে সবার মধ্যে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল সানিকে। এখনো তিনি স্বাভাবিক কোনো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান না। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরপর অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ার কথাও একবার জানিয়েছিলেন সানি।