বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেমার নায়ক তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও লেগেছে সিনেমার রঙ। প্রসেনজিৎ চট্টোটাধ্যায়ের রিল ও রিয়েল লাইফ মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে, জন্ম নিয়েছে বিতর্ক, চর্চা। একাধিক বিয়ে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির নায়িকারা উঠতে বসতে খোঁটা শোনেন। অথচ তাঁদের অনেক আগেই প্রসেনজিৎ তিন তিনটি বিয়ে করে বসেছিলেন।
দেবশ্রী রায়, অপর্ণা গুহঠাকুরতা আর তারপর অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এই তিন বিয়ের মধ্যে প্রথমটি অর্থাৎ দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে প্রসেনজিতের সম্পর্ক, বিচ্ছেদ এখনো ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চার বিষয়। কখনোই বিষয়টা নিয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি প্রসেনজিৎ বা দেবশ্রীকে। কিন্তু এবার ছবির স্বার্থে মুখ খুললেন।বুম্বাদা।
আসলে ‘কাছের মানুষ’ এর প্রচারের জন্য প্রতিবারের মতো এবারেও কিছু অদ্ভূত পরিকল্পনা করে রেখেছেন দেব। তার মধ্যে একটি হল, প্রসেনজিৎকে দিয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডি করানো। সেই মতো ‘ইন্ডাস্ট্রি’কে তিনি জানান, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কমেডি করতে হবে প্রসেনজিৎকে।
অভিনেতার প্রশ্ন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে আছেটা কি যাতে লোক হাসবে? দেবের উত্তর, “তোমার তো চারটে বিয়ে!” তারপরেই অবশ্য ভয় পেয়ে ‘সরি সরি’ করে ওঠেন তিনি। কিন্তু প্রসেনজিৎ এদিকে আঙুলের কর গুণে দাবড়ে ওঠেন দেবকে, চারটে কোথায়! তাঁর তো তিনটে বিয়ে।
সঙ্গে সঙ্গে দেবের উত্তর, এই তো এভাবেই কমেডি করতে হবে। এতে নাকি লোক হাসবে! মুখ বেজার করে, কয়েক বার কপাল চাপড়ে শেষমেষ রাজিও হয়ে যান প্রসেনজিৎ। তারপর আর কী, ভোল বদলে দর্শকদের সামনে হাজির বুম্বা দা।
এদিন বিয়ে ভাঙার পরবর্তী সময় নিয়ে প্রথম বার মুখ খোলেন প্রসেনজিৎ। দেবশ্রীর নাম না করেই তিনি বলেন, তিনটি বিয়ের মধ্যে যেটা প্রথম, ছোটবেলার সম্পর্ক, সেটা ভেঙে যেতে দেড় বছর বাড়ির বাইরেই বেরোননি প্রসেনজিৎ। ফ্ল্যাটের দরজা খোলেননি তিনি। নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন।
তারপর নিজেরই একদিন উপলব্ধি হয় তাঁর। এভাবে নিজেকে বন্দি করে রেখে লাভটা কী? সবার সামনে তো তাঁকে আসতেই হবে। পরিচালক অভিজিৎকে সেই দুঃসময়ে নিজের পাশে পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। দেড় বছরের বন্দিদশা কাটিয়ে যেদিন সেটে এসেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে নটা ছবিতে সাইন করে ফেলেছিলেন প্রসেনজিৎ।