বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই গিয়েছে গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi)। বিঘ্নহর্তার আরাধনায় মেতেছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ। বিশেষত মহারাষ্ট্রে কয়েকদিন ধরে উৎসব চলেছে। গণেশ পুজো করেন বহু বলিউড সেলিব্রিটি। ধুমধাম, আতশবাজি, রোশনাইয়ে মেতে উঠেছিল মহারাষ্ট্রবাসী। কিন্তু পথের অবোলা পশুগুলোর কথা কে ভেবেছে? প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী কিটু গিডওয়ানি (Kitu Gidwani) এবং শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)।
আতশবাজির শব্দে ভয় গুটিয়ে থাকে পথপশুরা। শ্রবণশক্তি মানুষের তুলনায় অনেকগুণ বেশি হওয়ায় আতশবাজির প্রচণ্ড শব্দ সহ্য করতে পারে না কুকুর বিড়ালরা। গণেশ চতুর্থীর কয়েকদিন বাজির শব্দে রাস্তায় বেরোতে পারেনি কুকুর বিড়ালরা। নিষ্পাপ প্রাণগুলোর জন্য মন কেঁদে উঠেছে অভিনেত্রী কিটু গিডওয়ানির।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, তিনি প্রতিদিন রাস্তার বিড়ালদের খেতে দেন। কিন্তু গণেশ চতুর্থীর সময়ে কোনো পথপশুকেই দেখতে পাননি রাস্তায়। বাজির শব্দে ভয় পেয়েছে ওরা। কিটু বলেন, বাজির শব্দে ভয় পেয়ে কত বিড়াল ছানা নিজের মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। গাড়ির নীচে লুকোতে গিয়ে চাপা পড়ে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এটাই কি ভারতীয় সভ্যতা সংষ্কৃতি? গণেশজি কি এগুলো দেখলে খুশি হবেন?কিটুর পোস্ট শেয়ার করে অবোলা প্রাণীদের জন্য কলকাতা থেকে সরব হয়েছেন শ্রীলেখাও। তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদেথ মতে আমরা পাগল যারা নিজেদের অবোলা বন্ধু, সন্তানদের জন্য চিন্তা করি। যারা এমন পাগলামি করে না তাদের জন্য করুণা হয়।’
শ্রীলেখার পশুপ্রেমের নিদর্শন বহুবার মিলেছে। কিছুদিন আগেই নিজের আলমারি খালি করে জামাকাপড় নিলামে তুলেছিলেন পথপশুদের ফান্ডের জন্য। ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘অনেক ভেবে দেখলাম এত জামাকাপড় আমার আর প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু নিলামে তুলব, কেমন হবে? একবার পরা একবারও না পরা অনেক ড্রেস, শাড়ি আছে। যে টাকাটা উঠবে (যদি ওঠে) সেটা দিয়ে চারপেয়ে বাচ্চাগুলোর জন্য একটা ফান্ড তৈরি করব। ভাবনাটা ঠিক ভাবলাম কী? জানিও।’