বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সঙ্গ ছেড়ে আরজেডি (RJD) এবং কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরে বিহারে (Bihar) পুনরায় একবার ক্ষমতায় বসেন জেডিইউ (JDU) প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তবে এরপর থেকেই অস্বস্তি যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর। দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে বহু নেতা-মন্ত্রীরা বর্তমানে বিজেপিতে যোগদান করে চলেছেন আর এর মাঝেই এবার নীতীশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী প্রকাশ্যে দুর্নীতির কথা বলে বসলেন। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য বেধেছে গোটা রাজ্যে।
গতকাল বিহারের কাইমুর জেলায় একটি দলীয় জনসভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন কৃষিমন্ত্রী সুধাকর সিং। প্রকাশ্যে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “কৃষি বিভাগে বর্তমানে এমন একটি জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি হয় না। আমি কৃষি দপ্তরের প্রধান, তাই আমি চোরেদের সর্দার। তবে এক্ষেত্রে আরো অনেক রয়েছেন।”
যদিও তারা কারা, সেই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেননি সুধাকর। বিহারের কৃষিমন্ত্রীর এহেন ভাষণের পর স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারে ক্ষমতায় বসেন নীতীশ কুমার। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আরজেডি বিধায়ক সুধাকর সিংকে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন তিনি। যদিও এরপরই বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, দুর্নীতির হাত থেকে নিজেকে এবং দলকে বাঁচাতেই নীতীশ আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গ নিয়েছেন। এর মাঝেই গতকাল রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের দ্বারা সেই জল্পনাই যেন আরো প্রকট হল।
এক্ষেত্রে অতীতেও সুধাকর সিংয়ের বিরুদ্ধে সরকারি চাল বেআইনিভাবে বিক্রি করার অভিযোগ সামনে আসে। ২০১৩ সালের এই মামলায় চাঞ্চল্য পড়ে যায় রাজ্যের সর্বত্র। পরবর্তীতে নীতীশ কুমারের পুলিশ সুধাকর সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত দায়ের করে। তবে বর্তমানে সেই নেতাকেই কিভাবে নিজ মন্ত্রিসভায় কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব দিলেন নীতীশ কুমার, তা নিয়ে ইতিমধ্যে উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন।