বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আগে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে বেশ বিশ্রীভাবেই হারের মুখোমুখি হতে হয় পাকিস্তান দলকে। প্রথমে ব্যাট করে নয় ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেও ২৩ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ পাকিস্তান হেরেছে তার একাধিক কারণ রয়েছে। বাবর আজম সহ গোটা মিডল অর্ডারের ধারাবাহিকতার অভাব তো রয়েছে তার সঙ্গে আরো একটা বড় কারণ হল পাকিস্তানের ফিল্ডিং।
এশিয়া কাপ ফাইনালে ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার নায়ক হয়েছেন ভানুকা রাজাপক্ষ। কিন্তু তিনি যে বড় রান করতে পেরেছেন তার একটা মূল কারণ হলো পাকিস্তানের ফিল্ডিং। কেয়া কাপ ফাইনালে তিনি অর্ধশতরান করার আগেই তার একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে একসাথে ধাক্কা খান আসিফ আলী এবং শাদাব খান। ফলে বেঁচে যান শ্রীলঙ্কান তারকা এবং তারপর দেশকে এশিয়া কাপ জিততে বড় সাহায্য করেন।
পাকিস্তানের ফিল্ডিং এর আগেও ঠাট্টা তামাশার বিষয় হয়ে উঠেছে। বহুদিন আগে থেকে চলে আসা এই ধারা ২০২২ সালে এসেও বদলাতে পারেননি বাবররা। শাদাব এবং আসিফের সেই ধাক্কা খাওয়ার ছবি নিয়ে নানান রকম ট্রোল এবং মিম তৈরি হচ্ছে। এবার সেইসব ট্রোলারদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দিল্লি পুলিশও।
তাদের দুজনের ধাক্কা খাওয়ার মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিল্লি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া টিম লিখেছে, “এ ভাই যারা দেখতে চলো।” অর্থাৎ এইভাবে তারা সাধারণ পথচারীদের রাস্তা চলাচল করার সময় সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই ধরনের বার্তা লোকের মনে অনেক বেশি গেঁথে থাকে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
তবে দিল্লি পুলিশ এই কাজ করলেও বহু আগে থেকেই এই ধারা চালিয়ে আসছে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজের টিম। ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপ থেকেই তারা এই রকম ভাবে লোকের মধ্যে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের “কেন ঝুঁকি নেবেন বেশি, আপনি কি আর লিও মেসি” বা “অযথা কেন রিস্ক নেবেন আপনি কি আর সিআরসেভেন?” এই জাতীয় ক্যাচ ফ্রেজ গুলি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল।