বিজেপির নবান্ন অভিযানে এলেন না নতুন পর্যবেক্ষক! সুনীল বনসলের কাণ্ড ঘিরে হতাশা গেরুয়া শিবিরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Rally of BJP)। এই অভিযানের মাধ্যমে দলের সামনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা তুলে ধরার পরিকল্পনা করে গেরুয়া শিবির। সে কথাই বৈঠকে উল্লেখও করেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। এমনকী নবান্ন (Nabanna) অভিযানের দিন অর্থাৎ আজ এই কর্মসূচি সফল করতে সুনীল বনসল নিজে স্ট্রং রুমে থাকবেন বলে বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা ভেবেছিল।

কিন্তু আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের দিন আসছেন না বনসল। এমনই জানা যাচ্ছে দলীয় সূত্রে। বরং নয়াদিল্লির দলীয় দফতরে বসেই নবান্ন অভিযান দেখবেন তিনি। তবে, রাজ্য দফতরে এসেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সতীশ ধন্দ।

বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার হেস্টিংসে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন সুনীল বনসল। সেখানে আজকের নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতির একাধিক দিক বিষয় খতিয়ে দেখে রণকৌশল তৈরি করেন তিনি। এই নবান্ন অভিযানের প্রতিটি ধাপের দায়িত্ব বন্টন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট নেতা এবং কর্মীদের কী কর্তব্য তাও ছকে দেন তিনি। সেখানে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান। যদিও আজ তাঁর দেখাই পাওয়া গেল না।

এক বিজেপি নেতা যিনি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি বলেন, ‘‌বনসল মনে করেন, কোনও কর্মসূচি সফল করতে হলে দায়িত্ব বন্টন এবং সেই দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করার উপরেই নির্ভর করে কর্মসূচির সামগ্রিক সাফল্য। সেই ফর্মুলাতেই নবান্ন অভিযানের খসড়া রাজ্য নেতাদের বুঝিয়ে দেন বনসল। কিন্তু আজ আর কলকাতায় এসে পৌঁছননি বনসল।’‌ সুতরাং বিজেপির একটা অংশ আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ল। এই অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।

এই অভিযানে হামলা–আক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাওড়া স্টেশন এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু। অভিযোগ উঠছে পুলিশের উপর আক্রমণ করে বিজেপি কর্মীরা। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। উত্তেজিত বিজেপির কর্মীরা পুলিশের সামনেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি–সহ ব্যানারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। হলদিয়া থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়িক তাপসী মণ্ডলকে হলদিয়া জাতীয় সড়কেই আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিক্ষোভ।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর