বাংলাহান্ট ডেস্ক : আশংকাই সত্যি হল! কংগ্রেসের হাত ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন গোয়ার (Goa) ৮ জন বিধায়ক। এর আগেই গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে দলবদলের টোপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। সেই সময় জানা যায় বিধায়ক ভাঙাতে ৪০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চডঙ্কর। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন শিল্পপতি ও কয়লা মাফিয়াদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে কংগ্রেস বিধায়কদের।’ এরপরই গতকাল ৮ জন বিধায়ক কংগ্রেস ত্যাগ করলেন বলে জানা যাচ্ছে।
গোয়ায় বিধায়ক কেনাবেচা নতুন কিছুি নয়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য মহারাষ্ট্র দখলের পরই বিজেপির নজর ছিল গোয়ার উপর। এই মুহূর্তে গোয়ায় শাসক দল বিজেপি। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তর পার্টির সমর্থন নিতে হচ্ছিল তাঁদের। বিজেপি বিধানসভায় নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে চাইছে। তাই কংগ্রেসের গোটা পরিষদীয় দলটিকেই নিজেদের দলে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করে কংগ্রেস।
গত জুলাই মাসে গিরীশ চডঙ্কর জানান, দলের ভিতরে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত এবং গোয়া বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবো। এরাই সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি মুকুল ওয়াসনিককে গোয়ায় পাঠান সোনিয়া গান্ধী। সেই সময় গোয়ার পরিস্কার নিয়ন্ত্রণের আনতে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক দীনেশ গুণ্ডুরাও। তাতে ১১ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত হন। তাঁদের সঙ্গেই কথা বলেন ওয়াসনিকরা। কংগ্রেসের দাবি করেছিল, অন্তত এই ছ’জন বিধায়কের দলত্যাগ আপাতত রোখা গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিধায়করাই মন্দির, মসজিদ, চার্চে গিয়ে শপথ নেন যে ভোটের পর তাঁরা দলবদল করবেন না। দলত্যাগের পরিকল্পনার নেতৃত্বে যিনি সেই দিগম্বর কামাত এক সময় গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। গোয়া কংগ্রেসের চরম দুঃসময়েও দলের সঙ্গে ছিলেন। ক্ষমতায় ফিরলে গোয়ায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনিই। তিনিই আবার হঠাৎ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন? এর কোনও উত্তর ছিল না কংগ্রেসের কাছে। যড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার জন্য বিরোধী দলনেতার পদ থেকে মাইকেল লোবোকে সরিয়ে দেয় হাইকমান্ড। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হল না। সেই ভেঙেই গেল কংগ্রেসর হাত।