বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকারের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) নবান্ন অভিযানকে ঘিরে গতকাল সৃষ্টি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও একাধিক বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসে আর এবার এই অভিযান প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যদিও তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল শিবির।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় সরগরম রাজনীতি। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ তুলে অতীতে একাধিক সময় প্রতিবাদে নামতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলগুলিকে। সেই ধারা বজায় রেখে গতকাল নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে বিজেপি। সেই ঘোষণা মতো সকাল থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে আসতে শুরু করে একাধিক দলীয় কর্মী সমর্থকরা। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসতে থাকে।
তমলুকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে ব্যাপক মারধর খান তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। আবার অপরদিকে বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীদের আটক করে পুলিশ। এর মাঝেই আবার এমজি রোডে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির লোকেদের বিরুদ্ধে।
এদিন সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে পাল্টা পুলিশের দিকেই তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশই চেয়েছে গাড়িতে আগুন জ্বলুক। নাহলে যেখানে আগুন জ্বলবে, সেখানে কেন পুলিশ কেন উপস্থিত ছিল না? এমনকি গাড়ির মধ্যে চালকও ছিল না। বর্তমানে অনেকে দাবি করছে, বিজেপি নাকি এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ যদি সেই ঘটনা দেখে থাকে, তাহলে ওদেরকে আটকালো না কেন?” একইসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোন যোগসূত্র নেই। বরং এ সকল ঘটনার দায় একমাত্র পুলিশকেই নিতে হবে।”
যদিও পরবর্তীতে দিলীপবাবুর মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “গতকাল রাজ্যবাসী বিজেপির গুন্ডামি দেখেছে। ওনাদের কোন মন্তব্য করা উচিত নয়।”
উল্লেখ্য, গতকাল নবান্ন অভিযানকে ঘিরে শাসক বনাম বিরোধী দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। সকাল থেকেই একাধিক প্রান্তে গন্ডগোলের পাশাপাশি একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করা হয়, আবার অপরদিকে রাস্তায় অবরোধে বসে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরবর্তীতে বিজেপির এই মিছিলকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। ওদের মিছিলে লোক হয়নি।” আবার বিজেপি নেতা মন্ত্রীদেরও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করতেও দেখা যায়। এর মাঝেই দিলীপ বনাম তৃণমূল বাকযুদ্ধ সেই বিতর্ক বহুগুনে উস্কে দিলো।