বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বিজেপির (Bharatiya Janata Party) নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে গন্ডগোলের ছবি ধরা পড়ে। শহরের পাশাপাশি জেলার একাধিক প্রান্তেও বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এসেছে। একইসঙ্গে তমলুকে (Tamluk) তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি আর এবার এই ঘটনায় মোট ৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও এর পিছনে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে পাল্টা দাবি ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি শিবির।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে গতকাল নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। সেই উদ্দেশ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় অসংখ্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আর এর মাঝেই তমলুকে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানাকে বেধরক মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনার নিন্দা করেন আর এবার একাধিক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করলো তমলুক থানার পুলিশ।
গতকাল ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল? সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গতকাল নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পথে বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের পথ আটকানো হয় এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তমলুক টোল প্লাজায় বিক্ষোভে বসে অসংখ্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এরপর সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান তারক জনাকে ঘিরে ফেলে তারা এবং এরপরই শুরু হয় ব্যাপক মারধর। তার জামা পর্যন্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “তমলুক টোল প্লাজা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ইচ্ছা করে সেগুলি ছিঁড়ে দিচ্ছিল। সেই কারণে ওখানে যাই। তবে পরবর্তীতে ওরা আমায় ঘিরে ধরে এবং মারধর করে।”
পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনার দরুণ নিন্দায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশে পরবর্তী সময়ে মানুষ ভুঁইয়া থেকে শুরু করে সোমেন মহাপাত্ররা আহত তৃণমূল প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যান আর এবার এই ঘটনায় অবশেষে ৯ জনকে পাকড়াও করলো পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।
যদিও বিজেপির তরফ থেকে অবশ্য তৃণমূলের ষড়যন্ত্রকেই সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এদিন বিজেপি নেতা আশিস মণ্ডল বলেন, “আমাদের মিথ্যে ভাবে ফাঁসানো হয়ে চলেছে। এ ঘটনায় আমাদের কর্মীদের কোন যোগ নেই।” আবার অপরদিকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ওই স্থানে কি করে এলেন? তবে নিশ্চয়ই মার খেতে এসেছিল। এই ধরনের সমাজ বিরোধী এবং শয়তানদের জন্যই বাংলা বদনাম হয়ে চলেছে। এদের ভালো করে দেওয়া উচিত।”