বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে বিজেপি (BJP)। সেইমতো গতকাল রাজ্যের একাধিক প্রান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করে তোলে প্রশাসন। তবে তার মাঝেও বেশ কয়েকটি স্থানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হওয়ার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এসিকে রাস্তায় ফেলে বেধারক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে অভিযুক্তদের ‘তৃণমূল ক্যাডার” বলে পাল্টা দাবি করা হয়েছে।
গতকাল বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে বাংলার একাধিক প্রান্ত থেকে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সুকান্ত মজুমদারদের আটক করা হয়, আবার অপরদিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দিকে ইট বৃষ্টির পাশাপাশি মারধরের অভিযোগও সামনে আসে। একইসঙ্গে এমজি রোডে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
এর মাঝেই কলকাতা পুলিশের এসিকে (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার) ব্যাপক মারধরের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযুক্তরা বিজেপি কর্মী সমর্থক বলেই এদিন দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হামলার ফলে মোট ৩০ জন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। এছাড়াও পরবর্তীতে দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে কলকাতা পুলিশের এসিকে ব্যাপক মারধর করে কয়েকজন লোক। তার কলার চেপে ধরার পাশাপাশি রাস্তায় ফেলে ঘুসি এবং লাথি পর্যন্ত চালানো হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় অভিযুক্তদের হাতে বিজেপির পতাকা দেখা গিয়েছে। ঘটনার ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, “অভিযুক্তরা আসলে তৃণমূলের ক্যাডার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এ সকল ঘটনা ঘটেছে।” তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে অবশ্য এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ‘ব্যর্থ অভিযান’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।