বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জি-২০ (G-20 Conference 2023) নেতৃবর্গের সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভারত (India)। বৈদেশিক সম্পর্ক বা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে আর্ন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এক বছর ভারত এই মর্যাদা পাবে। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এই সময়পর্ব শুরু হবে। এটি শেষ হবে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর।
দেশজুড়ে কমপক্ষে ২০০টি মিটিংয়ের আয়োজন করবে ভারত। ১৯টি উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে কাজে লাগিয়ে শিল্প-বাণিজ্য, শক্তি-নিরাপত্তা, অর্থনীতির বিভিন্ন দিকে জাতীয় স্বার্থ আদায় করে নেওয়াটাই ভারতের বিদেশনীতির মূল লক্ষ্য হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সভাপতিত্বের মেয়াদ থাকবে ১ বছর। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের গোড়া পর্যন্ত থাকবে মেয়দ। সরকারের সামনে বিরাট সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলিকে ভারতে বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করার।
মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত এই মুহূর্তে জি-২০-র ত্রয়ী গোষ্ঠীতে রয়েছে। ভারতের পাশাপাশি থাকছে ইন্দোনেশিয়া এবং ইটালিও। ভারত যখন সভাপতিত্ব পাবে, তখন ত্রয়ীতে থাকবে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিল। এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই প্রথম বার জি-২০-র ত্রয়ী গোষ্ঠীতে তিনটিই উন্নয়নশীল দেশ থাকছে।
২০২৩ সালের জি-২০ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নয়াদিল্লিতে। কিন্তু তার আগে থেকেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। অর্থনীতি, খাদ্য ব্যবস্থা, খাদ্যবণ্টন, খাদ্য-নিরাপত্তা, কৃষি, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শক্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই আলোচনা হবে এই সামিটে।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!