বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের রিপোর্ট বলছে পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Medinipore) গত এক বছরে আত্মঘাতী হয়েছেন মোট ১২২ জন কৃষক? এই তথ্য সামনে আসার পরই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কারণ, ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB)-র রিপোর্ট এবং রাজ্য সরকারের দেওয়া রিপোর্ট বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষিজীবীদের মৃত্যু সংখ্যা শূন্য।
বিশ্বনাথ গোস্বামী নামক এক ব্যক্তি একটি RTI ফাইল করে পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষক মৃত্যু সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে চান। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে একটি তথ্য তাঁকে দেওয়া হয়। যেখানে ২৩টি পুলিস স্টেশন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। পুলিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন এবং ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন ৩৪ জন।
পুলিসের দেওয়া এই তথ্যে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে আত্মঘাতী হয়ে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গোয়ালতোড়ে ১৪, কেশপুরে ৮, আনন্দপুরে ১০, কেশিয়ারি ৫, মোহনপুর ৭, দাঁতন ৭, পিংলা ৮, ঘাটাল ৬৩। সবমিলিয়ে পরিসংখ্যানটা ১২২। এদিকে ২০২২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষক আত্মহত্যার যে পরিসংখ্যান পুলিশ দিয়েছে তা অনুযায়ী গোয়ালতোড় ৫, কেশপুর ৫, আনন্দপুর ২, দাঁতন ৭, পিংলা ২, ঘাটাল ১৩ মোট ৩৪ জন। অপরদিকে জেলা পুলিস সূত্রে খবর, ২০২১ সালে ঘাটালে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের, দাসপুরে ৪২ জনের এবং মোহনপুরে ১১ জনের।
অবাক করা বিষয় হল পুলিসের দেওয়া এই তথ্যের সঙ্গে NCRB-র দেওয়া তথ্যের কোনও মিলই নেই। ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনাই ঘটেনি রাজ্যে। এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষক সভার জেলা সম্পাদককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঋণের বোঝায় মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তাঁদের উপর। তবে, সেই পরিসংখ্যানটা এতটাও নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই কৃষকরা ফসলের সঠিক দাম পাক। যে কৃষকরা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হোক।’
বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। আবার জেলা পুলিশের এক কর্তা দাবি করেন, RTI-এ দেওয়া তথ্য সঠিক নয়।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…