বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সারা দিনই উত্তপ্ত হয়ে রইল কলকাতা (Kolkata)। কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আটক হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি হাওড়া ব্রিজের কাছে দিলীপ ঘোষের মিছিল আটকানোর চেষ্টাও করা হয়। একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিস। পালটা পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। কলকাতা পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে বিক্ষোভকারীরা লাঠি দিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর চোখে ও হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দেবজিতকে কী ভাবে মেরেছে, তার সার্জারি করতে হবে।’ এরই সঙ্গে বড়বাজার ও মঙ্গলাহাটের ব্যবসা নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘মঙ্গলাহাট থেকে শুরু করে বড়বাজার অনেক জায়গাতে ব্যবসার বড় ক্ষতি হয়েছে এই নবান্ন অভিযানের জন্য। ব্যবসায়ীদের থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা হয়েছে।’
মমতার আরও সংযোজন ‘পুলিস ইচ্ছে করলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু, সেটা কাম্য নয়। পুলিশ অনেকটা শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিরোধের চেষ্টার করে। কিন্তু, সব ক্ষেত্রে তা করতে পারেনি। অনেক পুলিস কাল আহত হয়েছে। গুন্ডামি করার জন্যই লোক নিয়ে এসেছিল বিজেপি। ভিন্ন রাজ্য থেকেও ট্রেনে করে লোক আনা হয়েছিল। আন্দোলনের নাম করে বোমা ও বন্দুক নিয়ে আসবে এটা ঠিক নয়। আন্দোলন করুক তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আন্দোলন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। যারা বোমাবাজি করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিস উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল কলকাতা পুলিশের ৩০ জন কর্মী মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। যে পুলিশ কর্মীর চোখে মারাত্মক আঘাত লেগেছে, তিনি এই মুহুর্তে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে দেখতেই হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের উপরও পুলিসের জুলুমের অভিযোগ উঠে আসছে। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।