বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের গোড়ায় গলদ। কাজ না পেয়েও প্রতারণার টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছেন অভিনেত্রীরা। প্রতারকদের কণ্ঠলগ্না হয়ে দিনের পর দিন কোটি কোটি টাকার উপহার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড নায়িকাদের বিরুদ্ধে। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের পর এবার তদন্তকারীদের শ্যেণদৃষ্টিতে নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)।
মূলত বলিউডের বিদেশিনী সুন্দরীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে প্রতারণার টাকায় ফুর্তি করার। শ্রীলঙ্কার জ্যাকলিনের পর এবার মরোক্কান সুন্দরী নোরা দিকে নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দিল্লি পুলিসের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (EoW) এর তরফে দ্বিতীয় বার সমন পাঠানো হয়েছিল নোরাকে।
আদ্যোপান্ত কালো পোশাকে ঢেকে এদিন হাজিরা দেন অভিনেত্রী। মাথায় হুডি, চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক পরে চেনাই যাচ্ছিল না নোরাকে। বরাবর খোলামেলা পোশাকেই সকলে দেখতে অভ্যস্ত তাঁকে। কিন্তু সমন পেয়ে আদ্যোপান্ত ভোল বদলে এসেছিলেন নোরা। ছয় ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি সামনাসামনি কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরকে দেখেননি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই যোগাযোগ ছিল তাঁদের।
নোরার জামাইবাবুকেও এদিন চন্দ্রশেখরের ডানহাত পিঙ্কি ইরানির সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হয়। তদন্তকারীদের সামনে নোরার জামাইবাবু নাকি স্বীকার করেছেন, তিনি চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা দামের একটি বিএমডব্লিউ উপহার পেয়েছিলেন।
চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় চার্জশিটে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে যে টাকার লোভে সুকেশের অপরাধকে পাত্তাই দেননি জ্যাকলিন। নিজে তো প্রতারণার টাকায় দামী উপহার নিয়েইছেন, উপরন্তু নিজের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের জন্যও টাকা নিয়েছেন জ্যাকলিন। আর এইভাবেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তিনিও জড়িয়ে পড়েছেন অপরাধের সঙ্গে। এর আগে ইডির তদন্তের মুখে পড়েছিলেন নোরাও। দুই অভিনেত্রীর ভবিষ্যৎ কী হয় সেটা এখন দেখার।