বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে (UP) আলিগড় (GT Road from Aligarh to Kanpur) থেকে কানপুর পর্যন্ত বিস্তৃত জিটি রোডের সম্প্রসারণের কাজ চলছে জোর কদমে। এই কাজের মাঝেই দানা বাঁধল বিতর্ক। অভিযোগ উঠে আসছে, বুধবার চৌবেপুর এবং শিবরাজপুরের মাঝে অবস্থিত একটি মাঝার বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল উত্তরপ্রদপশ প্রশাসন। পুলিসের দাবি মাঝারটি হাইওয়ের সম্প্রসারণের মাঝে পড়ে গিয়েছিল। তাই সেটিকে না ভেঙে রাস্তা চওড়া করার কাজ সম্ভব ছিলনা।
জানা যাচ্ছে, আলিগড় থেকে কানপুর পর্যন্ত ৬ লেনের রাস্তার কাজ চলছে পুরোদমে। এনএইচএআই এই কাজ সম্পূর্ণ করতে চাইছে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যেই। চৌবেপুর এবং শিবপুরের মাঝে মরিয়ানি গ্রামে অবস্থিত একটি মাজার রাস্তার মাঝে পড়েছিল। প্রায় দু’মাস ধরে সেই মাজারকে সরাবার চেষ্টা করেছে প্রশাসন। কিন্তু কাজ হয়নি। বিরোধিতা করেছে স্থানীয় অধিবাসীরা। বাধ্য হয়ে গতকাল বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেটি।
বিলহৌরের এসডিএম অলকা লাম্বার উপস্থিতে ডেকে পাঠানো হয় ওই মাজারের অধিকর্তাকে। তাঁর সামনেই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভেঙে ফেলা হয় ওই ধর্মস্থলটি। সেই সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই সেখানে উপস্থিত ছিল বিরাট পুলিস বাহিনী। এসডিএম জানান, সম্পূর্ণ আইন মেনেই ভাঙা হয় ওই মাজার।
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগেই এই মাজারটিকে ভাঙার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ এটিকে ভাঙার বিরোধিতা করতে থাকে। তাঁরা পরিস্কার জানিয়ে দেন, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য মাজার ভাঙা যাবেনা। এরপর কিছু সময়ের জন্য রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এই মাজার তৈরি হয় প্রায় ৫০ বছর আগে। কিন্তু সেই মাজারকেই ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, পুলিস আধিকারিক বিজেন্দ্র দ্বীবেদি এবং এসডিএম অলকা লাম্বা মাজারের আধিকারিকদের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন। কিছুদিন পরই কোনজ আপত্তি ছাড়াই মাজার ভাঙার আদেশ দিয়ে দেন।