বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আমি মুখ খুলতে চাই। সঠিক সময় হলে মানুষ এবং প্রশাসনের কাছে সব বলবো’, নন্দীগ্রাম (Nandigram) বিধানসভা নির্বাচন ইস্যুতে বিতর্ক বাড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত আরমান ভোলা (Arman Bhola)। এক সময় বিজেপি নেতার অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’ এই ব্যক্তি ভবিষ্যতে কোন কোন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ভোটকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের পূর্বেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় পদপ্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। পরবর্তীতে ফল প্রকাশের সময় প্রথমে মমতাকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে কয়েক মুহূর্তের জন্য গণনা কেন্দ্রে হয় লোডশেডিং এবং এরপরেই নাটকীয় ভাবে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়লাভ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও এক্ষেত্রে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ ছুড়ে দেয় তৃণমূল শিবির। পরবর্তীতে আদালতে এই সংক্রান্ত একটি মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয়। তৃণমূলের দাবি, লোডশেডিং হওয়ার সময় বিজেপির পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্রের কারণেই শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেন আর এবার এই প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ আরমান ভোলা। এক্ষেত্রে কি কারণে লোডশেডিং হয়েছিল এবং তার পূর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগার পিছনে কারণ কি, সে সকল ইস্যুতে মুখ খুলবেন বলে জানিয়েছেন আরমান।
গতকাল তিনি বলেন, “আমি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন হলদিয়ায় গন্ডগোল সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগে, ওই দিন হলদিয়া থেকে অনেকে রওনা দেয়। ওদের কি পরিকল্পনা ছিল, তা সঠিক সময়ে মানুষ এবং প্রশাসনের কাছে জানাব।”
আরমানের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর কারণে ভবিষ্যতে বাংলার বুকে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে আর সেই কারণে প্রয়োজন পড়লে পরবর্তী সময় আদালতেও তিনি হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও অপরদিকে এগুলিকে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র বলে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমানে যে সকল ঘটনা সামনে এসে চলেছে, তা অনুচিত। এতে আদতে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান নষ্ট হচ্ছে। ওরা আসলে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এবং ভয়ের কারণে এ সকল কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে। তবে পরবর্তীতে যেকোনো কেন্দ্রে গণনা হোক না কেন, জিতবেন শুভেন্দু অধিকারী।”