বাংলাহান্ট ডেস্ক : উজবেকিস্তানের সমরখন্দে আয়োজিত সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের সম্মেলনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তুরস্কের (Turkey) রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের। অতীতে কাশ্মীর বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে মতানৈক্য দেখা যায়। এই অবস্থায় এই সৌজন্য সাক্ষাৎকার বেশ অভাবনীয় বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, তুরস্ক সম্প্রতি দাবি করে কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুব খারাপ। ভারতের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে এই বিষয়ে সমঝোতা করা। বারবার তারা দাবি করে, ধারা ৩৭০ এবং ৩৫ (এ) অবলুপ্তি অনৈতিক এমনকি ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও ব্যবহার করেছে তুরস্ক। তারপরও এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই পরিবর্তন? জানা যাচ্ছে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ব বাজারে যোগান কমতে শুরু করেছে চাল ও গমের। যার প্রভাব পরেছে তুরস্কেও। অরদিকে গম ও চালের ভাণ্ডার রয়েছে ভারতের হাতে। তাই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এবং দেশে গম ও চালের যোগান বাড়াতেই তুরস্ক এই পদক্ষেপ করেছে। পাকিস্তানের তথাকথিত বন্ধু দেশ তুরস্কের এই ভারত প্রীতি পাক সরকারের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হতে পারে।
তুরস্কের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করে ভারত। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে আসে বলেই জানা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকে শুরু করে তেলের ভাণ্ডার, সব বিষয় নিয়েই আলোচনায় সহমত পোষণ করে দুই দেশ। তবে এরই নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন জানার পরও তাকে পুতিনের শুভেচ্ছা না জানানো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কে জল ঢেলে দিয়ে পুতিন জানান, আগাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান রাশিয়ার সংস্কৃতিতে পড়ে না।
অপরদিকে জানা যাচ্ছে, আর্থিক সংকটের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা তুরস্ক রাশিয়ার কাছেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। ভারত রাশিয়ার মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সহযোগিতা তুরস্কের জন্য খুবিই দরকারি বলে মনে করছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল। তুরস্কের আর্থিক সংকট এমনই পর্যায়ে যে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার অবস্থাতেও নেই সে। তাই তুরস্কের ভরসা এখন রাশিয়া এবং ভারতই।