বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে বিতর্ক এখনো বর্তমান। মিছিলের সময় বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশের অত্যাচার নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আবার অপরদিকে, পদ্মফুল শিবিরের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা।
এদিন নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নবান্ন অভিযানের দিন চটি পরা জেহাদিরা আক্রমণ চালিয়েছিল। ওখানে কে পুলিশ আর কে বহিরাগত ,তা বুঝে ওঠার কোন রকম উপায় ছিল না।” পরবর্তীতে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডিপুরে একটি দলীয় সভায় যোগদানের মাধ্যমে বিরোধী দলনেতা জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে আমি বহু জিনিস জানি। অন্য কেউ এই প্রসঙ্গে অতটা অবগত নয়। বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে ফাইভ স্টার বেনিফিট দেওয়া হয়ে চলেছে। তবে আর কতদিন? এবার দিল্লিতে তিহারে গিয়ে থাকতে হবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলা জুড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসে। একদিকে যখন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে, আবার অপরদিকে বহু বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে আবার মিছিলের প্রথমে সাঁতরাগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়দের, যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে লালবাজার থেকে ছাড়া পান বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে তিনি দাবি করেন, আমাদের বহু কর্মী সমর্থক জখম হয়েছে। পুলিশ যেভাবে আমাদের উপর অত্যাচার করেছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” পরবর্তীতে বিজেপি মন্ত্ৰী রবি শঙ্কর প্রসাদ থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক নেতা মন্ত্রীরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বিজেপির নবান্ন অভিযান এবং সেখানে পুলিশের অত্যাচার প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই ৫ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। এই কমিটি রিপোর্ট তুলে দেবেন কেন্দ্রের হাতে। উক্ত রিপোর্ট শেষে নয়া কোন বিতর্ক অপেক্ষা করে রয়েছে, আপাতত সেদিকে তাকিয়ে সকলে।