বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজো মানেই খুশির মেজাজ। পুরনো তিক্ততা আর বিতর্ক ভুলে নতুন করে শুরু করার চেষ্টা। বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠলে গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) কথা আসবেই। গায়ক কেকের মৃত্যুর জন্য রূপঙ্করকেই দায়ী করেছিলেন অনেকে। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পরপরই প্রয়াত হন কেকে। রোষ এসে পড়ে রূপঙ্করের ঘাড়ে। সেই রোষ থেকে এখনো রেহাই পাননি তিনি।
এবার রূপঙ্কর জানালেন, তাঁর কাছে ‘বিগ বস’এ অংশ নেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। বিপুল অঙ্কের টাকার কথা শুনেও প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আসলে পুজোর সময়ে নিজের পরিবারকে ছেড়ে দূরে থাকার মোটেই পক্ষপাতী নন রূপঙ্কর। তাই অতি লোভনীয় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিতে ভাবেননি তিনি।
রূপঙ্কর বলেন, কিছুদিন আগেই বিগ বসের ফোনটা এসেছিল। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছিল, তিন মাস ফোন ছাড়া কাটাতে হবে। বাড়িতে ফোন করা যাবে না। আর্থাৎ পুজোর সময়টাতেই ঘরছাড়া, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগহীন হয়ে কাটাতে হবে! তাই বিপুল অঙ্কের টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন রূপঙ্কর। তাঁর মতে, পরিবারটাই তাঁর কাছে আগে, টাকা নয়।
এ প্রসঙ্গে ছোটবেলার পুজোর স্মৃতিও শেয়ার করেন রূপঙ্কর। শ্যামবাজারে থাকতেন তিনি ছোটবেলায়। শ্যামবাজার লেডিস পার্কে হত তাঁদের পাড়ার পুজো। বাগবাজার সর্বজনীন, হেদুয়া, কলেজ স্কোয়ার ঘুরে ঠাকুর দেখতেন। কলেজের পুজো আবার অন্য রকম।
পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে বেরোতেন প্যান্ডেল হপিংয়ে। তবে রাত জেগে কোনোদিনই ঠাকুর দেখেননি রূপঙ্কর। রাত একটার মধ্যেই বাড়িমুখো হতেন তিনি। পুজোর সময়ে আগে নাটকের শো করতেন গায়ক। এখনো কোথাও না কোথাও অনুষ্ঠান থাকেই। হয় দেশের কোনো প্রান্তে, নয়তো বিদেশে। কলকাতার পুজোতে থাকাই হয় না রূপঙ্করের। এ বছরেও পুজোয় তিনি থাকবেন বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে।
অবশ্য তাতে খুব একটা আক্ষেপ নেই তাঁর। কারণ এখনকার পুজোয় থিমের বাড়বাড়ন্ত পোষায় না তাঁর। আগেকার সাবেকি পুজোগুলোর আকর্ষণ মিস করেন রূপঙ্কর। কিন্তু আগেকার দিন হোক বা এখনকার, বাঙালির পুজো মানেই প্রেম। এ বিষয়ে অবশ্য রূপঙ্করের তেমন কোনো স্মৃতি নেই। কারণ তিনি প্রেম করার সুযোগই পাননি।
বন্ধুবান্ধবরা নাকি পাড়ার একই মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। ফলত সেই মেয়ে বেরোলেই তার পেছন পেছন বেরিয়ে পড়ত রূপঙ্করের বন্ধুবান্ধবরা। কিন্তু তিনি অবশ্য কোনোদিন মুখ তুলেও তাকাননি সে মেয়ের দিকে। কারণ বন্ধু শাসিয়ে রেখেছিল, আশেপাশে দেখলেই হাড় গুঁড়ো গুঁড়ো করে দেবে!