বাংলাহান্ট ডেস্ক : জাপান ও ইউরোপ বিভিন্ন দেশে বর্তমানে চলাচল করে বুলেট ট্রেন। তীব্র গতি সম্পন্ন এই ট্রেন অতি দ্রুত যাত্রীদের পৌঁছে দেয় গন্তব্যে। কিন্তু সম্প্রতি হাইপারলুপ যান নিয়ে আলোচনা চলছে। জানা যাচ্ছে এই হাইপারলুপ এর গতি হার মানাতে পারে বুলেট ট্রেন এমনকি বয়িং বিমানকেও!
প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন হাইপারলুপ চেপে ৬১৫ কিমি পথ মাত্র ৪৫ মিনিটে পার করা সম্ভব। ঘন্টায় এই যানের গতিবেগ হতে পারে ১২০০ কিমি পর্যন্ত! হাইপারলুপ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু ২০১৩ সালে। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক হাইপারলুপ আলফা’ নামে ৫৮ পাতার একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যেই ভার্জিন হাইপারলুপ নামে একটি সংস্থা ২০২০ সালে হাইপারলুপ প্রযুক্তিতে তৈরি একটি যান পরীক্ষামূলকভাবে চালায়। জানা যাচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দুই মার্কিন সংস্থা ভার্জিন হাইপারলুপ এবং হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজিস (হাইপারলুপ টিটি) বাজারে এই প্রযুক্তির যান লঞ্চ করতে পারে।
প্রযুক্তিবিদরা ধারণা করছেন, আমেরিকার দুই শহরে এই প্রযুক্তির যানে ভ্রমণ করার খরচ পড়তে পারে প্রায় ১০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার টাকা। এই প্রযুক্তির যানবাহন রাস্তায় অনেকটাই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই যান তড়িৎচুম্বকীয় শক্তিতে পরিচালিত হওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে ইলন মাস্কের সংস্থার হাইপারলুপ এই যানের গবেষণাপত্রে যানটির নকশা, সুরক্ষা ব্যবস্থা সহ প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরা হয়েছিল। এরপর ম্যাগনেটিক লেভিটেশন বা ম্যাগলেভ তত্ত্বটি যুক্ত করা হয় গবেষণাপত্রে। বলে রাখা ভালো এই ম্যাগলেভের সাহায্যে এই যানটি দ্রুতগতি উৎপন্ন করতে পারে। এছাড়াও নির্মীয়মান সংস্থাটি যান চলাচলের মসৃণতার দিকটিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, হাইপারলুপ প্রযুক্তি বাতাসের ধাক্কাকে অতিক্রম করতে সক্ষম। তাই বাতাসের ধাক্কায় গতি কমে না গিয়ে তা অতিক্রম করে দ্রুতগতি ধারণ করতে পারে এই প্রযুক্তির যান। আমেরিকার এই দুই সংস্থা তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এক একটি যানে ২৮ জন যাত্রী একসাথে পরিবহন করতে পারবেন। তবে ভার্জিন হাইপারলুপ জানিয়েছে এই প্রযুক্তির যানে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমেরিকা, দুবাই সহ ভারতেও অতি শীঘ্র হাইপারলুপের দেখা পাওয়া যেতে পারে।