বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় যে কজন চিত্রনাট্য লেখিকা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে প্রথমের দিকেই নাম থাকবে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। সিরিয়াল প্রেমী হোক বা না হোক তাঁর নাম জানেন অনেকেই। সৌজন্যে তাঁর লেখা সিরিয়ালগুলির গল্প নিয়ে তৈরি মিম। তিনি নাকি পরকীয়া আর কূটকাচালিকে তোল্লাই দেন গল্পে। অথচ তাঁর লেখা সিরিয়ালই বছরের পর বছর ধরে বিনোদনের যোগান দিয়ে আসছে দর্শকদের।
চিত্রনাট্য লেখিকা হিসাবে টলিপাড়ার সঙ্গে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ নতুন নয়। বিগত ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন চ্যানেলে অগুন্তি সিরিয়ালের গল্প লিখেছেন তিনি। আর তার মধ্যে প্রায় সবকটিই হিট। কিছু কিছু সিরিয়াল এখনো মনে রেখে দিয়েছেন দর্শক। কিন্তু এটা জানেন কি লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই একসময় সিরিয়াল দেখা পছন্দ করতেন না। উপরন্তু কলেজের চাকরি ছেড়ে চিত্রনাট্য লেখিকার পেশা শুরু করেছিলেন তিনি।
কমলা গার্লস স্কুল এবং তারপর সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে পড়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কলেজ জীবন কেটেছে রামকৃষ্ণ মিশনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন তিনি। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পেশাগত জীবন শুরু হয় একটি কলেজের বাংলার অধ্যাপিকা হিসাবে।
সে সময়েই এক প্রযোজনা সংস্থা থেকে সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখার প্রস্তাব পান তিনি। লেখালেখির অভ্যাস ছিল চিরকালই। কিন্তু সিরিয়াল মোটে পছন্দ করতেন না তিনি। এমনকি কেউ সিরিয়াল দেখলেও নাকি তিনি চ্যানেল ঘুরিয়ে দিতেন। তিনিই শেষমেষ অধ্যাপিকার চাকরি ছেড়ে সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখা শুরু করলেন। ২০০৪ সালে জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘সোনার হরিণ’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর।
তারপর থেকে সুবর্ণলতা, সাত পাকে বাঁধা, বিন্নি ধানের খই, কেয়া পাতার নৌকো, ইষ্টি কুটুম, অন্দরমহল, কুসুম দোলা, ফাগুন বউ, মোহর, শ্রীময়ী, খড়কুটোর মতো একের পর এক সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লিখে গিয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে সিরিয়ালে অত্যধিক পরকীয়া দেখানোর জন্য।
ট্রোলও হয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সিরিয়াল বরাবর ভাল টিআরপি দিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ধুলোকণা, গুড্ডি, এক্কা দোক্কা, সুন্দরী, সোনা রোদের গান সিরিয়ালগুলির চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদেও রয়েছেন।