বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে চলা দ্বন্দ্বের আবহেই এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হল তাইওয়ান (Taiwan)। শনি এবং রবিবার দু’দিনই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সেই দেশ। এমনকি, রবিবার দুপুরেও ভূকম্পন অনুভূত হয় সেখানে। জানা গিয়েছে, রবিবার ঘটা কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেল অনুযায়ী ছিল ৭.২। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে তাইওয়ান সরকারকেও। এর আগে গত শনিবার তাইওয়ানে ৬.৬ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
শনিবার রাতেও ভূমিকম্প হয়: গত শনিবার তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে কম্পন অনুভূত হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির কোনো খবর সামনে আসেনি। এই প্রসঙ্গে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে যে, উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর তাইতুং থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এদিকে, খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েন কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, তাইওয়ান দেশটি এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় সেখানে প্রায়শই কম্পনের খবর সামনে আসে। মূলত, ভূতাত্বিকভাবে তাইওয়ান দু’টি টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
এখনও সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই: এদিকে, পরপর দু’দিন যাবৎ ভুমিকম্পের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। পাশাপাশি, সুনামি নিয়েও নতুন করে চিন্তার উদ্রেক ঘটেছে। তবে, জানিয়ে রাখি যে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭.০ না হওয়া পর্যন্ত তাইওয়ানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় না। যদিও, ৬.০ তীব্রতার ভূমিকম্পও যথেষ্ট মারাত্মক হতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে ভূমিকম্পের অবস্থান এবং গভীরতার উপর।
এমতাবস্থায়, ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে নিশ্চিত করেছে যে, এই ধরণের ভূমিকম্পে তাইওয়ানে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। এদিকে, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে অনেকটা একই অবস্থা জাপানেরও। সেখানেও প্রায়শই ভূকম্পন ঘটে।
চিনেও ভূমিকম্প হয়েছে: সম্প্রতি চিনের সিচুয়ান প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পে মোট ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। গত সপ্তাহে পশ্চিম চিনের অংশটি ৬.৮ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের প্রভাব ছিল সিচুয়ানের রাজধানী চেংদুতেও। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই কোভিডের কারণে কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন।